আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তুর্কি হামলা প্রতিহতে সিরীয় সেনাবাহিনী ও কুর্দিদের ‘চুক্তি’
তুরস্কের হামলা প্রতিহত করতে সাহায্য করার জন্য সিরিয়ার সরকারের সঙ্গে সেনা পাঠানোর একটি চুক্তি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কুর্দি যোদ্ধারা। তবে রাজধানী দামেস্ক থেকে সিরিয়ার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি। সীমান্তবর্তী সিরীয় এলাকা আফ্রিন কুর্দি যোদ্ধাদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। দেশটি গত মাসে আফ্রিনে কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান শুরু করে। বর্তমানে আফ্রিন এলাকায় সিরিয়ার কোনো সামরিক উপস্থিতি নেই।
কুর্দিদের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাদরান জিয়া কুর্দ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই সরকারি সৈন্যরা আফ্রিনে প্রবেশ করতে পারে এবং তাদের সীমান্তের কয়েকটি অবস্থানে মোতায়েন করা হবে। সিরিয়ার এক কুর্দি রাজনীতিকের বরাতে ইরাকি কুর্দি গণমাধ্যম গোষ্ঠী ও বার্তা সংস্থা রুদো কথিত ওই চুক্তির সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিসিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যালান জনস্টোন জানিয়েছেন, সত্যি যদি চুক্তিটি হয়ে থাকে তাহলে আফ্রিনে তুরস্কের সেনাদের কুর্দি যোদ্ধাদের পাশাপাশি সিরীয় সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করতে হবে।
২০১২ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সৈন্যদের উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দি এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এর পরপরই দলের সশস্ত্র শাখা পিপলস প্রটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজি) সমর্থনে দ্রুততার সঙ্গে ওই এলাকার দায়িত্ব গ্রহণ করে কুর্দিদের প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন পার্টি (পিওয়াইডি)। এরপর সিরিয়ার বিশাল এক অংশ থেকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধাদের হটিয়ে দেয় ওয়াইপিজি। এরপর আফ্রিন থেকে ওয়াইপিজিকে হটিয়ে দিতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক কারণ এই গোষ্ঠীটিকে নিজ দেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বর্ধিতাংশ মনে করে তুরস্ক।
তুরস্কের ভিতের কুর্দি অঞ্চলগুলোর স্বায়ত্তশাসনের জন্য গত তিন দশক ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে পিকেকে। কিন্তু তুরস্কের দাবি সত্ত্বেও পিকেকের সঙ্গে সরাসরি কোনো সামরিক ও রাজনৈতিক যোগাযোগের কথা অস্বীকার করছে ওয়াইপিজি। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সিরীয় সামরিক বাহিনী ও ওয়াইপিজি বহুলাংশে নিজেদের মধ্যে সরাসরি লড়াই এড়িয়ে গেলেও মাঝে মাঝে দুই পক্ষের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
"