নিজস্ব প্রতিবেদক
ইয়াবা পাচার রোধে নাফ নদে মাছ ধরা বন্ধ : প্রধানমন্ত্রী
মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদকদ্রব্য পাচার রোধে নাফ নদে সাময়িকভাবে মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিষয়ে ‘বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর এনসিডি কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এ কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ড্রাগ এডিকশন ... হেরোইন, ইয়াবা এগুলোকে চেক দিতে হবে। সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।’ প্রেস সচিব জানান, নাফ নদে কিছু দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। টেকনাফের নাফ নদ দিয়ে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে প্রায়ই ইয়াবা পাচারের খবর পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার থেকে মাঝেমধ্যেই ইয়াবা আটক করে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ১০ সদস্যের চিকিৎসক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জাতীয় অধ্যাপক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল মালিক। অধ্যাপক দীন মোহাম্মদও প্রতিনিধি দলে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। প্রতিনিধি দলটি অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করার এবং তামাকমুক্ত দেশ গড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলে জানান প্রেস সচিব।
এর আগে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একনেকে অনুমোদিত ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন এবং সরকারি কলেজসমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের সংশোধিত নকশা উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ছিল প্রস্তাবিত শের-ই-বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (সাবেক নারী শিক্ষা মন্দির) এবং গোপালগঞ্জের শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নকশা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানাজালা প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিদ্যালয় দুটির নকশার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী তা দেখে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন বলে জানান প্রেস সচিব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয় ভবনগুলোতে আলো-বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা এবং টানা বারান্দা থাকতে হবে।
এ ছাড়াও জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থা, অগ্নিসংকেত ব্যবস্থা রাখতে বলেন তিনি। টয়লেটগুলোতে ছুটির ঘণ্টার (যাতে স্কুল ছুটির পর কোনো শিক্ষার্থী যেন সেখানে আটকা না থাকে) ব্যবস্থা রাখার কথাও তিনি বলেন বলে জানান ইহসানুল করিম। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
"