রানীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
দুর্ঘটনা থেকে ট্রেন বাঁচিয়ে পুরস্কৃত হচ্ছে ৭ শিক্ষার্থী
নওগাঁর রানীনগরে ট্রেন রক্ষাকারী সাত শিক্ষার্থী তাদের সাহসিকতা ও বীরত্বের পুরস্কার পেতে যাচ্ছে। সম্প্রতি উপজেলার বড়বড়িয়া নামক স্থানে স্থানীয় কয়েকজন ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা রেললাইনের ভেঙে যাওয়া স্থানে দাঁড়িয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেনকে মোবাইলের লাল আলো, গায়ের জামা, গামছা-গেঞ্জি উড়িয়ে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করে।
রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-মামুন বলেন, গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার গোনা ইউনিয়নের বড়বড়িয়া নামক স্থানে প্রচ- গরমের কারণে রেললাইনের একটি অংশ ভেঙে যায়। ওই এলাকার একদল খুদে শিক্ষার্থী সেই ভাঙা অংশ দেখতে পায়। তার একটু পরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেন ঘটনাস্থল অতিক্রম করার আগেই তারা মোবাইলের লাল আলো জ্বালিয়ে, পরনের শার্ট, গামছা, গেঞ্জি যার কাছে যা ছিল সেটা বাঁশের কঞ্চিতে বেঁধে সংকেত দিয়ে ট্রেন থামায়। তাদের এই তাৎক্ষণিক বুদ্ধির কারণে ট্রেনে থাকা কয়েক হাজার যাত্রী বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করে সেইসব শিক্ষার্থীদের তালিকা করা হয়েছে। সেই সাহসী শিক্ষার্থীরা হলো উপজেলার পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাইম ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম লেবুর ছেলে বাধন (২১), একই গ্রামের বাবুর আলীর ছেলে আরিফ (২১), সাইফুল ইসলাম টিক্কার ছেলে রাকিব খান (২০), বড়বড়িয়া গ্রামের হাফিজুর ইসলামের ছেলে হিমেল (১১), গোবিন্দপুর (সাতানী) গ্রামের উজ্জল হালদারের ছেলে অন্তর (১১), ধীরেশ চন্দ্র হালদারের ছেলে বিপ্লব (১৩) এবং মামুন হোসেনের ছেলে ইব্রাহীম (১১)।
এই সংবাদটি জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশের পর ওই ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জেলা প্রশাসন সাহসিকতায় বীরত্বপূর্ণ কাজের পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান করবেন। আগামী সোমবার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাদের এই সম্মাননা প্রদান করা হবে।
"