পটুয়াখালী প্রতিনিধি

  ১০ আগস্ট, ২০১৯

মেয়েটিকে বাঁচতে দিল না বখাটেরা

বখাটেদের ক্রমাগত উত্ত্যক্তের শিকার হচ্ছিল মেয়েটি। সর্বশেষ বখাটেরা তাকে হুমকি দেয়, তার অশ্লীল ছবি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে। এ হুমকিতে মানসিক পীড়ন সইতে না পেরে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। আত্মহত্যার আগে এক চিরকুটে মেয়েটি এ কথা বলে চার বখাটের নাম উল্লেখ করে তাদের বিচার দাবি করে গেছে। গত বুধবার পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। মারা যাওয়া মেয়েটির নাম স্বর্ণা আক্তার। সে স্থানীয় খালগোড়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। পুলিশ স্বর্ণার কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘরের আড়ার সঙ্গে তার ফাঁস দেওয়া লাশ ঝুলছিল।

স্বর্ণার বাবা নাসির উদ্দিন সিকদারের ভাষ্য, স্বর্ণা রোজ বিকালে বাড়ির পাশে রাজার এলাকায় শিক্ষকের কাছে পড়তে যেত। যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই বখাটেরা তাকে উত্ত্যক্ত করত। একপর্যায়ে স্বর্ণার অশ্লীল ছবি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় বখাটেরা। এ হুমকিতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে স্বর্ণা। আত্মহত্যার আগের দিন গত মঙ্গলবার স্বর্ণা বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করতে থাকলে তার মা কী ঘটেছে জানতে চান। মায়ের কাছে কান্নাকাটি করে স্বর্ণা জানায়, বখাটেরা অশ্লীল ছবি তৈরি করে ছড়িয়ে দিলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। পরদিন ভোরে স্বর্ণার লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্বর্ণার লাশ উদ্ধার করে। স্বর্ণার লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। এতে চার বখাটের কার্যকলাপ উল্লেখ করে শাস্তি দাবি করা হয়েছে।

স্বর্ণার মৃত্যুর ঘটনায় বাবা নাসির উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে উপজেলার সেনের হাওলা গ্রামের সবুজ আকনের ছেলে হৃদয় আকন, চরযমুনা গ্রামের মাহবুব হাওলাদারের ছেলে লিমন হাওলাদার, সেনের হাওলা গ্রামের খালেক মৃধার ছেলে অন্তর মৃধা ও চর কানকুনি গ্রামের ইউনুস জোমাদ্দারের ছেলে রাহাত জোমাদ্দার। অজ্ঞাতনামা আরো তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

রাঙ্গাবালী থানার ওসি মো. আলী আহম্মেদ স্বর্ণার চিরকুট পাওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close