নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯

মুসলিম উম্মাহর ঐক্যে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এই উম্মাহর একসঙ্গে থাকা উচিত। মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সৃষ্ট সংঘাতে ওই দেশগুলোর জনগণকেই ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এজন্য মুসলিম উম্মাহর মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাওফর গতকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে শেখ হাসিনা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। এদিকে সৌজন্য সাক্ষাতে শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইরানের নতুন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফার। তার দেশের মানুষও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে খুব পছন্দ করেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

সাক্ষাতে দু’দেশের মধ্যে অভিন্ন সাংস্কৃতিক বন্ধনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে- ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণের জীবন-মানের উন্নয়নে সরকার কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমরা দারিদ্র্যের হার ২১ শতাংশে নামিয়ে এনেছি এবং আমাদের উন্নয়ন নীতিমালা হচ্ছে গ্রাম কেন্দ্রিক। এখানে সব ধর্মের মানুষ একত্রে যেকোনো ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করে।

বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে বিদ্যমান ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের উল্লেখ করে রেজা নাওফর বলেন, ‘আমাদের এই সম্পর্ককে আমাদের আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দুই দেশের মধ্যে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো সহযোগিতা রয়েছে। রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কও সুন্দর অবস্থানে রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এটি বর্তমানে সন্তোষজনক অবস্থা নেই।

‘পশ্চিমা অবরোধ সত্ত্বেও ইরান এগিয়ে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা এই অঞ্চলের উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করে যাচ্ছি, কেননা আমরা কোনো যুদ্ধবাজ দেশ নই।’

এই অঞ্চলের উত্তেজনা প্রশমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো উদ্যোগকে ইরান স্বাগত জানাবে বলে জানান ইরানের রাষ্ট্রদূত।

ইরান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের মধ্যে ঐতিহ্যগত ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক যে বন্ধন আছে সেটাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। পশ্চিমা অবরোধ সত্ত্বেও ইরান ‘এগিয়ে চলছে’। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা কমাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোনো উদ্যোগ নিলে ইরান তা স্বাগত জানাবে বলে মন্তব্য করেন নাওফর।

সৌজন্য সাক্ষাতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও কার্যালয় সচিব সাজ্জাদুল হাসান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close