নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ দেশের কোস্টগার্ডের মিটিং উদ্বোধন
১৮টি দেশের কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে দুই দিনব্যাপী ১৪তম হেড অব এশিয়ান কোস্টগার্ড এজেন্সিসের ওয়ার্কিং লেভেল মিটিং উদ্বোধন হয়েছে। রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের আয়োজনে গতকাল মিটিং শুরু হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী। মিটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, হংকং, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তুরস্ক এবং ভিয়েতনামের কোস্টগার্ড, মেরিটাইম এজেন্সিসমূহ এবং দি রিজিওনাল কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট অন কমবেটিং পাইরেসি এন্ড আর্ম রোবারি এগেইনিস্ট শিপ ইন এশিয়া বা আরইসিএএপি-এর ৪১ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার বিচক্ষণ দূরদর্শিতা দিয়ে প্রথম ব্লু ইকোনমি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে সমুদ্র সীমানা দাবি করেন। বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কঠোর হাতে সন্ত্রাসবাদ, মাদককারবার, চোরাচালানি, অবৈধ অস্ত্র বাণিজ্য, মানব পাচার, অবৈধ মৎস্য আহরণে জড়িত দুর্বৃত্তদেও প্রতিহত করে আসছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোস্ট গার্ড মহাপরিচালক বলেন ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি মেরিটাইম বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং নিজস্ব সমুদ্রসীমা দাবি করে একটি টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ব্লু ইকোনমি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।’ এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সমুদ্র ও উপকূলবর্তী অঞ্চলে উদ্ধার তৎপরতা, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ, অবৈধ কর্মকান্ড প্রতিরোধ এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কোস্টগার্ড বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, মাদকদ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধ, উপকূলীয় বিভিন্ন আইনের পাশাপাশি পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, সমঝোতা বৃদ্ধি, তথ্য আদান-প্রদান সমন্বিত প্রচেষ্টা বৃদ্ধি ছাড়াও নিজস্ব দায়িত্ব পালনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মহাপরিচালক আশা ব্যক্ত করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
"