বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে ক্রসফায়ার আতঙ্কে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা লাপাত্তা
দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানের মুখে আত্মগোপনে চলে গেছে জেলার শীর্ষ মাদক কারবারিরা। ক্রসফায়ার ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় একের পর এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে বাগেরহাটের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী থেকে খুচরা মাদক বিক্রেতাদের আর দেখা মিলছে না।
গত কয়েক দিনের অভিযানে বাগেরহাটের ৯টি উপজেলার কোথায় কোনো বড় মাদক কারবারি আটক হয়নি। যারা আটক হয়েছে তারা প্রায় সবাই মাদকসেবী বা বিভিন্ন মামলার নিয়মিত আসামি। এদিকে, পুলিশের বিশেষ অভিযানে ইয়াবাসহ সব মাদকদ্রব্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। আর বাগেরহাট মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, জেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের বেশ কয়েকজন জেলে থাকায় খুচরা বিক্রেতা যারা বাইরে আছে তারা ঘরবাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছে।
বাগেরহাট মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. শরিয়াতুল্লাহ জানান, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকায় বাগেরহাটের ১০ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে তিনজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফকিরহাটের আজিম মেম্বার, বাগেরহাট সদরের মুক্ত মীর ও তার স্ত্রী রুলী বেগম এবং চিতলমারীর পান্না বিশ্বাস।
বাগেরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র তালুকদার আবদুল বাকী বলেন, বাগেরহাট শহরসহ এর আশপাশ এলাকার প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা কেউ এখন পর্যন্ত আটক হয়নি। তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাগেরহাট শহরের হাঁড়িখালী, পুরনো রেললাইন, হাঁড়িখালী পদ্মপুকুর পাড়, সদর হাসপাতাল এলাকা, মাঝিডাঙ্গার, সাবেক ডাঙ্গা, কান্দাপাড়া বটতলা এলাকা, মুনিগঞ্জ মহিলা কলেজ রোড, হরিণখানা পুরনো রেলস্টেশন এলাকা, সোনাতলা, পচা দিঘির পাড়, খারদ্বার, আলিয়া মাদ্রাসা রোড, সম্মিলনী স্কুল মোড়, পুরনো বাজার মীরেরবাড়ি এলাকা, পুরনো রেলস্টেশন, কেবি বাজার চালতে তলা এলাকা ছিল মাদক বিক্রির পয়েন্ট। অভিযানের কারণের এসব স্পট থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। তবে অতি গোপনে মিলছে বেশি দামে ইয়াবা।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন বলেন, তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী অনেকেই অভিযানের খবর জেনে পালিয়ে গেছে। বাগেরহাট সদর উপজেলায় সেরকম কোনো বড় মাদক ব্যবসায়ী নেই। অভিযান চলছে।
"