বিনোদন প্রতিবেদক
করোনায় ঘরবন্দি সুইটি সুবর্ণা-শাবনাজ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য দুই অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা ও শাবনাজ এবং আরেক জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী তানভীন সুইটি সম্প্রতি একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ক্যামেরার একই ফ্রেমে বন্দি হয়েছিলেন। চিত্রনায়িকা শাবনাজের ছোটবোন তাহমিনা সুলতানা মৌয়ের নিমন্ত্রণে রাজধানীর উত্তরায় মৌয়ের বাসাতে এক ঘরোয়া আড্ডায় মেতে উঠেন সুবর্ণা মুস্তাফা, সুইটি ও শাবনাজ। তবে বিশ^ব্যাপী করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবারই মন ভীষণ খারাপ। সবাই যার যার ঘরে গৃহবন্দি। কিন্তু গৃহবন্দি হলেও সবাই একে অন্যের নিয়মিত খোঁজ রাখার চেষ্টা করছেন। গেল ১৪ মার্চ থেকেই নিজের ঘরেই নিরাপদে অবস্থান করছেন সুবর্ণা মুস্তাফা।
সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে নিজেদেরই ঘরে বসে নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রচুর ভিটামিন সি খাওয়া যেতে পারে। সত্যি বলতে কী সবাই যার যার অবস্থানে থেকে যদি কয়েকটা দিন ঘরবন্দি থাকতে পারি তাহলেই হয়তো আমরা বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব। আর রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের জন্য পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টাই করা হচ্ছে। আমার পক্ষ থেকে মেয়রের উদ্যোগে সবাই মিলে সবার ঢাকার সঙ্গে আমি যুক্ত আছি। যেন সাধারণ মানুষের কোনো কষ্ট না হয়।
শাবনাজ বলেন, আল্লাহ সবাইকে করোনাভাইরাস থেকে বিপদমুক্ত রাখুক, সবাইকে ভালো রাখুন এ-ই চাই। সবাই যার যার ঘরে নিরাপদে থাকুক। পরিবারের সঙ্গে থাকুক। যাতে কিছুটা দিন আমরা নিয়মটা মেনে ঘরে থেকে করোনাভাইরাসের বিরাট বিপর্যয় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি। জানি না আল্লাহ এই অবস্থা থেকে আমাদের কবে পরিত্রাণ করবেন। তবে সবসময়ই দোয়া করছি, যেন তিনি আমাদের দ্রুত এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করে দেন। আমরা পাপী বান্দা, আমাদের যেন আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আমি আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘরেই অবস্থান করছি। তবে এটা সত্যি সাধারণ মানুষের জন্য মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে আছে। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবাইকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। যে যার অবস্থান থেকে অসহায় গরিব মানুষের পাশে যেন দাঁড়াই আমরা সবাই।
তানভীন সুইটি বলেন, গেল ১৮ মার্চ থেকে আমি ঘরের মধ্যেই অবস্থান করছি। সরকার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। করোনাভাইরাসে খুব সাধারণ মানুষের জীবনেই নেমে এসেছে অনেক কষ্ট। সাধারণ মানুষের যেন সেই কষ্ট না হয় সরকার তা খেয়াল করার চেষ্টা করছে। আর সরকার ঘোষিত নিয়ম আমাদের সবাইকে মেনে চলতে হবে। করোনাভাইরাসের ভয়ানক বিপদ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হলে নিজেদেরই ঘরের মধ্যে নিরাপদে রাখতে হবে। তবে এটা সত্যি আমরা আমাদের পরিবারকে এভাবে এর আগে সময় দিতে পারিনি। নতুন এক জীবনের সন্ধান পাচ্ছি। আমরা আমাদের জীবনকে নতুনভাবে দেখছি এখন। আমরা স্বার্থপর হয়ে গিয়েছিলাম, আমাদের মধ্যে শিষ্টাচার উঠে গিয়েছিল। তা আবার ফিরে আসছে। এটা সত্যিই পজিটিভ দিক।
"