নিতাই চন্দ্র রায়

  ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

জলবায়ু

মানবজাতির জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ

জলবায়ু পরিবর্তন মানবজাতির জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। ধনী দেশগুলোর অতি লোভ এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের কারণেই এ জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। শিল্পোন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের জন্য দায়ী হলেও পৃথিবীর স্বল্পোন্নত দেশগুলোকেই এর ভয়াবহ পরিণতি বহন করতে হচ্ছে। আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সত্য কথাটিই উচ্চারণ করেছেন সম্প্রতি শুরু হওয়া জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের আগে ‘অ্যাকশন ফর সারভাইভাল : ভালনারেবল নেশনস কপ-২৫ রিডার্স সামিটে’। স্পেনর রাজধানী মাদ্রিদে ২ ডিসেম্বর থেকে কপ-২৫ (কনফারেন্স অব পার্টিস) জলবায়ু শীর্ষক সম্মেলন শুরু হয়েছে, যা চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা সম্ভবত আমাদের সময়ের সবচেয়ে কঠিন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। আমরা যদি শিশুদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হই, তবে আমাদের শিশুরা আমাদের ক্ষমা করবে না।’ তার মতে, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের জন্য একটি কঠিন বাস্তবতা। এটি বর্তমানে মানবজীবন, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। ১৯৯২ সালে ধরিত্রী সম্মেলন শুরু হওয়ার পর গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে তেমন কোনো অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। কার্বন নিঃসরণ এখনো বাড়ছে। এই প্রবণতা বিশ্বের জন্য টেকসই নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সীমিত সক্ষমতা ও সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো সবচেয়ে ভোগান্তিতে রয়েছে। স্বল্পোন্নত দরিদ্র দেশগুলো ক্ষয়ক্ষতির ধকল বয়ে বেড়াচ্ছে অথচ এ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী দেশগুলোর যৎসামান্য অথবা কোনো দায় নেই। এটা একটা গুরুতর অবিচার এবং বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিষয়টি অকপটে স্বীকার করতে হবে। বাংলাদেশের মতো সর্বাপেক্ষা ঝঁকিপূর্ণ দেশ, যেগুলোকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার, সেসব দেশ প্রয়োজনীয় সহায়তা পাচ্ছে না। নতুন ক্লাইমেট ভারনারেবল ফান্ড (সিভিএফ) ও ভি-২০ ট্রাস্ট ফান্ড সৃষ্টি এবং জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত একটি স্পেশাল রিপোর্টের সম্ভাবনা হবে একটি বড় সাফল্য। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন প্রচেষ্টা জোরদার করতে নেদারল্যান্ডসে ২০২০ জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ।

যেসব দেশের ঝুঁকি ও প্রভাব মোকাবিলার সক্ষমতার অভাব রয়েছে, এমন অরক্ষিত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য একটি মানদন্ড নির্ধারণ করতে হবে। প্রশমন ক্ষেত্রে দুর্বল দেশগুলো প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোর চরম অনীহা লক্ষ করা যায়। এটি আন্তর্জাতিক জলবায়ু শাসন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে পারে এবং ভুক্তভোগী দেশগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই নিস্ক্রিয়তার জন্য জবাবদিহির দাবি ওঠাই স্বাভাবিক।

মানবজাতির অভিবাসনের ওপরও জলবায়ুর প্রভাব যে ব্যাপক, তা সবারই জানা। সহিংস সংঘাতের চেয়েও আবহাওয়ার বৈরী আচরণের কারণে ইতোমধ্যে অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সুমদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি ও মরূকরণের মতো ধীরগতির ঘটনা বিশ্বব্যাপী অনেক কম মনোযোগ পেয়েছে। যখন বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর অভিযোজন ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করছে, তখন এই ভারসাম্যহীনতা সংশোধনের লক্ষ্যে কাজ করা উচিত। বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং সুরক্ষা নিশ্চিতে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় যথাযথ মনোনিবেশ করা দরকার।

বিশ্বের শতকরা ৬০ ভাগ কার্বন নিঃসরণ করছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, রাশিয়া ও জাপানের মতো দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, দাবানল, অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা, ফসলহানি, নদীভাঙন এবং অগণিত মানুষের বাস্তুচ্যুতির দায় শিল্পোন্নত দেশগুলো কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় গত ২ ডিসেম্বর থেকে স্পেনের মাদ্রিদে শুরু হওয়া জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন কপ-২৫ সম্মেলনে এদের কেউ অংশগ্রহণ করেনি। ওইদিন উদ্বোধনী ভাষণে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সভ্যতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এখন মানবসভ্যতাকে আশা এবং আত্মসমর্পণের যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে। আত্মসমর্পণ করলে এখান থেকে ফেরার আর কোনো সুযোগ থাকবে না। ধরিত্রী সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মেলনে ৪০ জন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভ্যান ডার বেলেন কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমার মতো এখানে আসা সবাই কথিত সিদ্ধান্ত প্রণেতা এবং সম্ভবত আমরা আমাদের সন্তান ও নাতিদের ভালোবাসি। দেশের হয়ে আমাদের সিদ্ধান্তে সন্তানদের কী হবে, একবার ভাবুন।’ তার এমন বক্তব্যের কারণটি হলোÑ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রকৃত অর্থে এসব দেশের তেমন ভূমিকা নেই। অন্যদিকে কার্বন নির্গমনকারীদের কাছে এ সম্মেলনের কোনো গুরুত্ব নেই। গুতেরেস জানান, এখন পর্যন্ত কার্বনের মাত্রা কমিয়ে আনা, জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি বন্ধ করা, কয়লাভিত্তিক প্লান্ট বন্ধে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতেও গৃহীত পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদক্ষেপ আশাব্যঞ্জক। এ অঞ্চলের নেতারা কার্বন নির্গমন শূন্যে আনতে কাজ করছেন। ফলে কপ-২৫ জলবায়ুর প্রভাব ঠেকাতে বড় আশা দেখতে পারছেন না সচেতন বিশ্ববাসী। এখন সবার দৃষ্টি স্কটল্যান্ডের আগামী গ্লাসগো সম্মেলনে। তত দিনে প্যারিস চুক্তি অনুসারে ‘ ন্যাশনাল ক্লাইমেট প্ল্যান’ তৈরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। চুক্তি অনুযায়ী, দেশগুলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে রাখতে সম্মত হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমানো ও ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার শর্ত রয়েছে।

এত ক্ষোভের মধ্যেও সম্মেলনে আশার আলো দেখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনার লিডার ন্যানসি পেলোসি। এ ডেমোক্র্যাট নেতা অন্তত এটুকু আশ্বাস দিয়েছেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলেও ওয়াশিংটন গুরুত্বপূর্ণ এ ইস্যুতে পাশে থাকবে। ট্রাম্প বৈশ্বিক উষ্ণতাকে ‘ধাপ্পাবাজি’ বলে আখ্যায়িত করে পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। গত মাসে তিনি ১৯৬টি দেশে প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) তথ্য তুলে ধরে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গত পাঁচ বছর বিশ্ব উষ্ণতার রেকর্ড গড়েছে। পৃথিবী নামের গ্রহে কার্বনের মাত্রা এতটা বেড়েছে যে, তিন থেকে পাঁচ মিলিয়ন বছরেও এমনটি দেখা যায়নি।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গত এক দশকে বিশ্বের নানা প্রান্তে দুই কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। দাতব্য সংস্থা অক্সফামের সর্বশেষ গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গবেষকরা বলছেন, বেশির ভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও দাবানলের কারণে। গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে বাংলাদেশ ও ভারতে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছে। সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধে যে সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়, তার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি মানুষ ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হয় বন্যা ও দাবানলে। অক্সফামের জলবায়ুবিষয়ক পলিসির নেতা টিম গোরে বলেন, কিউবা, ডমিনিকা ও টুভালোর মতো দ্বীপরাষ্ট্রগুলোতে গড়ে প্রতি বছর তাদের মোট জনসংখা প্রায় ৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হতে দেখা যায়। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর পর্যন্ত বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা শিল্প যুগের আগের তুলনায় ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বিগত চার দশকের বিবেচনায় এই দশকটি আগের দশকের চেয়ে উষ্ণ। শিল্প যুগের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে চলতি বছর ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানে তীব্র দাবদাহ বয়ে গেছে। আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল বিধ্বস্ত করে গেছে বড় ঝড় এবং অস্ট্রেলিয়া ও ক্যালিফোর্নিয়ায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ দাবানল। বিশ্ব আবহাওয়া দফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে ১ কোটি লোক অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুহারা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ লাখ লোক বাস্তুহারা হয়েছে বৈরী আবহাওয়া যেমন বন্যা, ঝড় ও খরার কারণে। বিজ্ঞানীরা শিল্প যুগের আগের তুলনায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার কথা বলছেন। এ লক্ষ্যে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষর করে বিশ্বের ১৯৫টি দেশ। তবে ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) গত বছর সতর্ক করে বলেছিল, বিশ্ব যেভাবে চলছে, তাতে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তন মানব স্বাস্থ্যের চরম ক্ষতি করছে। তাপপ্রবাহ ও চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ রোগে ভুগছে। ম্যালেরিয়াসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগও বাড়ছে। শুধু বায়ুদূষণ কমিয়ে এনেই বছরে লাখো মানুষ বাঁচানো সম্ভব। তাই বিশ্ব নেতাদের প্রতি কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আশার কথা ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে মিলিত হবেন। ১২ ডিসেম্বর শুরু হওয়া দুই দিনের এই সম্মেলন সামনে রেখে তারা এ বিষয়ে একটি খসড়া প্রণয়ন করেছেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম স্থানে রয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্যোগ আঘাত হেনেছে এমন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ তৃতীয়। গত ৫ ডিসেম্বর জার্মানভিত্তিক গবেষণা সংস্থা জার্মানওয়াচ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। ‘বিশ্ব জলবায়ু ঝুঁকি সূচক-২০২০’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ১৯১টি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বড় দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। এসব দুর্যোগে ৫৭৭ জন মারা গেছে। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত ২০ বছরে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ১৬৮ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, যা দেশের জিডিপির শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমে এসেছে।

লেখক : সাবেক মহাব্যবস্থাপক (কৃষি)

নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস লিমিটেড, নাটোর

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close