আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৫ অক্টোবর, ২০১৯

কাশ্মীরে সংবাদ সংগ্রহের পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি সাংবাদিকদের

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে নীরব আন্দোলন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। গত বৃহস্পতিবার কালো ব্যাজ পরে ও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজধানী শ্রিনগরের প্রেস ক্লাবে অবস্থান নেন শতাধিক সাংবাদিক।

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে পাস হয় একটি বিলও। আর গত ৯ আগস্ট রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আইনে পরিণত হয় তা। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। ঘটনার আগেরদিন থেকে ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানকার বিপুলসংখ্যক স্বাধীনতাপন্থি ও ভারতপন্থি রাজনৈতিক নেতাকে।

দুই মাস ধরে চলা সংবাদমাধ্যমের এই অবস্থা কাটানোর দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামেন সাংবাদিকরা। এই সময়ে কোনো সংবাদপত্র তাদের অনলাইন সংস্করণ চালাতে পারেনি। দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ছিল না কোনো সম্পাদকীয় পাতাও। ধীরে ধীরে কাশ্মীরের নিষেধাজ্ঞা উঠতে শুরু করলেও এখনো অনেক জায়গায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা নেই। ফলে সংবাদ সংগ্রহে ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে সাংবাদিকদের।

প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আন্দোলনে এদিন অনেকের হাতেই ছিল প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার। যেখানে লেখা ছিল ‘তথ্যের ওপর অভিযান বন্ধ করুন’, ‘সাংবাদিকদের অপরাধী বানানো বন্ধ করুন’ ‘সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয়’।

সরকার একটি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা দিলেও তা যথেষ্ট নয় বলে দাবি সাংবাদিকদের। তা ছাড়া সেখানে সংবাদের প্রয়োজনীয় গোপনীয়তাও বজায় রাখা সম্ভব নয়। কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইশফাক তান্ত্রে বলেন, ‘এখানে কোনো গোপনীয়তা নেই। ৩০০ সাংবাদিক এই সেন্টার ব্যবহার করেন। ফলে সবসময়ই ভিড় লেগে থাকে। এ ছাড়া এসব কিছুই নজরদারির আওতায়।

স্থানীয় এক দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ফারজানা মুমতাজ বলেন, ‘আমি জেলাগুলো থেকে কোনো সংবাদ পাচ্ছি না। আমার কাছে ইন্টারনেট বা ফোন নেই যার মাধ্যমে আমি প্রতিবেদকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারব। যেকোনো সংবাদ পেতে আমার দুই দিন সময় লেগে যাচ্ছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close