আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৪ এপ্রিল, ২০১৯

আলোচনায় ‘অ্যাম্বাসি ক্যাট’ খ্যাত অ্যাসাঞ্জের সেই বিড়াল

লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকাকালে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সন্তানরা তাকে একটি বিড়াল উপহার দিয়ে গিয়েছিল। বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতার নিঃসঙ্গতা ঘোচাতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছিল তার ছেলেমেয়েরা। তবে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের পর সেই বিড়ালটিই এবার নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছে। তার ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। অ্যাসাঞ্জের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় প্রাধান্য পেতে শুরু করেছে তার বিড়ালটিও।

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ৪ এপ্রিল উইকিলিকসের টুইটে বলা হয়, ইকুয়েডর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দুটি সূত্র থেকে তারা নিশ্চিত হয়েছে কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে অ্যাসাঞ্জকে দূতাবাস থেকে তাড়ানো হতে পারে। সেই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে গত বৃহস্পতিবার তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। অ্যাসাঞ্জ গ্রেফতার হওয়ার পর একা হয়ে পড়েছে তার পোষা বিড়ালটি।

ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে জেলের থেকেও সংকুচিত জায়গায় থাকতে হতো অ্যাসাঞ্জকে। সন্তানদের দিয়ে যাওয়া বিড়ালটির দেখভাল করেই সময় কাটত অ্যাসাঞ্জের। ইন্টারনেট জগতে অ্যাসাঞ্জের বিড়ালটি পরিচিতি পেয়েছে ‘অ্যাম্বাসি ক্যাট’ নামে। অ্যাসাঞ্জের মতোই এখন বিশ্বব্যাপী পরিচিত বিড়ালটি। তাই অ্যাসাঞ্জ গ্রেফতার হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে তাকে নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কেউ প্রশ্ন করছেন, কী হবে বিড়ালটির। কেউ আবার আগ বাড়িয়ে নিজের কাছেই রেখে দিতে চাচ্ছেন।

ডাইস নামে একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, অ্যাসাঞ্জের বিড়ালটি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। সারা নামে আরেকজন লিখেছেন, বিড়ালটির ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে তা আমরা কেউ জানি না। অ্যানি হ্যাক নামের একজন বিড়ালটির দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অ্যাসাঞ্জের বিড়ালটিকে অনেক ভালোবাসি। দয়া করে বিড়ালটির কেউ দায়িত্ব নিন। তার জীবন নিয়ে আমি শঙ্কিত। আমি একে পোষ্য হিসেবে নিতে চাই। বিড়ালটিকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’

উল্লেখ্য, ১১ এপ্রিল অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের পর তাকে ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাকে। গত বৃহস্পতিবার অ্যাসাঞ্জ নিরাপত্তা হেফাজতে রাত কাটিয়েছেন। রয়েল কোর্টে তার সাজা ঘোষণার কথা রয়েছে। জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে সর্বোচ্চ ১২ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে তার। অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ সাপেক্ষে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে। এদিকে ২০১০ সালে সরকারি গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতাকে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে তার পাঁচ বছরের কারাদ- হতে পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close