আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

ভারতে প্রথম ধর্ম বর্ণ পরিচয়হীনের স্বীকৃতি

নিজেকে শুধু ভারতীয় নাগরিক মানেন; কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম বা বর্ণের মানুষ নন। তামিলনাড়– সরকারের কাছ থেকে ধর্ম ও বর্ণহীন নাগরিক হিসেবে সনদ আদায় করে নিজের বিশ্বাসের আইনি বৈধতা পেয়েছেন ৩৫ বছরের নারী এম এ স্নেহা।

তিরুপাথুরের এই আইনজীবীর নামের সঙ্গে কোনো বর্ণ পরিচয় নেই। এমনকি তার জন্মসনদ বা স্কুলের সনদেও বর্ণ পরিচর ও ধর্ম পরিচয় লেখার ঘর ফাঁকা।

সম্প্রতি তামিলনাড়– সরকার স্নেহার নামে একটি আনুষ্ঠানিক সনদ পাঠিয়েছে। যেখানে তাকে বর্ণ ও ধর্মহীন নারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ভারতে তিনিই প্রথম এ ধরনের সনদ পেলেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

আইএএনএস বার্তা সংস্থাকে স্নেহা বলেন, যেখানে সরকার সব নাগরিককে সামাজিক সনদ দেয়, সেখানে আমি কেন বর্ণ বা ধর্মহীন নাগরিক হিসেবে সনদ পাব না। বিষয়টি আমাকে ভাবিয়ে তোলে। প্রাথমিকভাবে আমি একটি চিঠি পাঠিয়ে এ ধরনের সনদ চাই। পরে অন্য সবাই যেভাবে সামাজিক সনদের আবেদন করে, আমি সেভাবে আবেদন করি।

এ মাসের শুরুর দিকে নিজের আবেদনের জবাব পান স্নেহা। তামিলনাড়– সরকার তাকে বর্ণ ও ধর্মহীন নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সামাজিক সনদ দেয়। তিনি বলেন, আমার বাবা-মা, বোনেরা, স্বামী, তিন মেয়ে কারোই বর্ণ বা ধর্ম পরিচয় নেই। আমরা সবাই নাস্তিক। এই সনদ শুধু আইনি নথি।

স্নেহা ও তার স্বামী কে পার্থিবারাজা তাদের তিন মেয়ের নাম আধিরি নাসরিন, আধিলা আইরিন এবং আরিফা জেসি রেখেছেন। স্নেহার দুই বোনের নামও ধর্ম পরিচয় বহন করেন না। তাদের নাম মুমতাজ সুরাইয়া ও জেনিফার।

স্নেহার বাবা-মা দুজনই পেশায় আইনজীবী এবং ভিন্ন বর্ণের। স্নেহার নামের শুরুতে এম এ তার মা-বাবার নামের প্রথম অক্ষর থেকে রাখা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close