আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ত্রিপোলিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সংযত হওয়ার আহ্বান
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিকে ঘিরে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রাণঘাতী হামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে চার পশ্চিমা দেশ।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইতালির যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈধ লিবীয় কর্তৃপক্ষকে দুর্বল ও চলমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে পশ্চাদমুখী করার যে চেষ্টা চলছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। ত্রিপোলিকে ঘিরে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর গত সপ্তাহের সংঘর্ষে বেসামরিক নাগরিকসহ অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। জাতিসংঘ সমর্থিত একটি সরকার লিবিয়ার রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখলেও দেশটির বেশিরভাগ অংশই বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর দখলে। ‘সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সব ধরনের সামরিক পদক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি; ত্রিপোলি কিংবা লিবিয়ার অন্য কোথাও যারাই স্থিতিশীলতা বিনষ্টের চেষ্টা করবে, তাদেরকেই এর জন্য দায়ী থাকতে হবে,’ বিবৃতিতে বলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইতালি।
ত্রিপোলির দক্ষিণের একটি শহর থেকে বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা রাজধানীর দক্ষিণের এলাকায় হামলা চালালে গত সপ্তাহের সোমবার থেকে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়।
জাতিসংঘ সমর্থিত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ডের (জিএনএ) স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকার ঘনিষ্ঠ বাহিনীর কয়েক দিনের সংঘর্ষে অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে বলে শুক্রবার জানান।
নিহতদের মধ্যে মালির এক নাগরিকও আছেন। সংঘর্ষে আহতের সংখ্যাও কয়েক ডজন ছাড়িয়ে গেছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, গত সপ্তাহের সংঘর্ষে চার শিশুসহ অন্তত ১৮ বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের কারণে ত্রিপোলির কাছের আটক কেন্দ্রগুলোতে থাকা হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশীকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ত্রিপোলি বিমানবন্দরের কার্যক্রমও দুই দিন বন্ধ রাখা হয়।
২০১১ সালের অক্টোবরে নেটো সমর্থিত বাহিনী লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাতের পর থেকে দেশটির পূর্ব ও পশ্চিমের বিভিন্ন গোষ্ঠী একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে শুরু করে। জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো ত্রিপোলিতে একটি সরকার বসালেও লিবিয়ার বেশিরভাগ অংশেই তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।
"