কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
পানি না নামা পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে : মায়া
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। কেউ যেন খাদ্যাভাবে বা বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। তিনি গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দিতে বলেছেন। পানি না নামা পর্যন্ত বানভাসি মানুষদের খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে। গতকাল সোমবার সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার প্রত্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের দ্বীপচর শাখাহাতির আশ্রয়ণ প্রকল্প মাঠ এবং উলিপুর উপজেলার চাঁদনী বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ত্রাণমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী বানভাসিদের পাশে না দাঁড়িয়ে চিকিৎসার নামে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। আমরা আহ্বান জানাই, আসুন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান।’ বন্যাদুর্গত এলাকায় এনজিওর ঋণের কিস্তি আদায় কয়েক মাসের জন্য বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত মানুষ খুব কষ্টে আছে। তাদের কাছ থেকে সুদসহ ঋণ আদায় সঠিক হবে না।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, অতিরিক্ত সচিব খালেদ মাহমুদ, যুগ্ম সচিব মো. মোহসিন, যুগ্ম সচিব আলী রেজা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা মুরাদ হাসান বেগ, উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বজরা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম আমিন প্রমুখ।
মন্ত্রী চিলমারী উপজেলায় এক হাজার পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল এবং উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন শেষে চাঁদনী বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক হাজার ২০০ বন্যাকবলিত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
"