নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রভাবিত হবে খালেদার বিচার
ফারুক
খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে বিচার প্রভাবিত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতা জয়নাল আবদিন ফারুক। বিচারাধীন একটি বিষয় নিয়ে সরকারপ্রধানের বক্তব্য দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে গতকাল শনিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্যে এই শঙ্কার কথা জানান তিনি। খালেদার বিরুদ্ধে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার প্রসঙ্গ ধরে প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার মিউনিখে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘যদি সত্যি কোর্টের কাছে এভিডেন্স থাকে চুরি করেছে, তাহলে শাস্তি হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন ‘এতিমদের টাকা চুরি করে খেয়েছেন’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ওই বক্তব্য ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফারুক বলেন, ‘এতে বোঝা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করেন, তাহলেই তো খালেদা জিয়াকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। রায়ের আগেই দলীয় ফোরামে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি (শেখ হাসিনা) এ রকম বক্তব্য দেন, সেটা কী সঠিক হলো।’
যদি স্বাধীন বিচার বিভাগ ও নিরপেক্ষ বিচারক হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই বেগম খালেদা জিয়া আইনজীবীর মাধ্যমে যেসব বক্তব্য তুলে ধরেছেন, সেই বক্তব্যে প্রমাণিত হবে, অর্থলুটের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নাই, বলেন ফারুক।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উদ্যোগে ‘নির্বাচন কমিশন, সহায়ক সরকার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফারুক। নতুন ইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলব, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি মেনে নিন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করুন।’ এদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেন তিনি।
তখন গয়েশ্বর সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তা উদ্দেশ্যবিহীন মামলা নয়, এটা সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করেছে।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘সরকারি দল ও বিরোধী দলের ক্ষেত্রে আইনের দুই রকম প্রয়োগ হচ্ছে। বিরোধী দলের নেতা হলে জামিন পাই না, আমাদের জেলে যেতে হয়। আর একজন মন্ত্রী আছেন, তাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল অফেন্সে হাইকোর্টে রায় আছে, তার পরও স্বপদে বহাল আছেন।’
"