ঢাবি প্রতিনিধি

  ০৭ এপ্রিল, ২০২০

ডেঙ্গু রোধে আগেভাগেই সতর্ক ঢাবি!

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের চোখ রাঙানি শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৩ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছেন ১২ জন। এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে সুরক্ষার জন্য সরকার প্রথমে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। যার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা ও অফিস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধের এ সময়টা কাজে লাগাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক যুগ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ হওয়ায় ভালোভাবে ক্যাম্পাস পরিষ্কার করে আসন্ন ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

গেল বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দেশজুড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অনেকে। তখন শিক্ষার্থীরা হল কর্তৃপক্ষের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধনে নিয়মিত কর্মসূচি না চালানোর অভিযোগ তোলেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত। সে কারণে নতুন নির্বাচিত কমিশনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়কগুলোতে ব্লিচিং পাউডারমিশ্রিত পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন। আবাসিক এলাকায় জীবাণুনাশক দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসও এই কর্মসূচির সমন্বয় করছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষদের সভায়ও বন্ধের সময় হল পূর্ণাঙ্গভাবে পরিষ্কার করার জন্য উপাচার্যের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মাস্টারদা সূর্য সেন হলের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল মোতালেব বলেন, আমরা হল বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মচারীদের নিয়ে হল পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিই। তিন দিন হলের সবকিছু পরিষ্কার করা হয়েছে। এখন যেহেতু শিক্ষার্থী নেই, সেভাবে ময়লা হয় না। হল খোলার পর সব পরিচ্ছন্ন থাকবে। গত বছরও আমরা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের সময় হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখেছি। নিয়মিত ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হতো।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি নিয়মিত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী তৈয়ব উদ্দীন বলেন, প্রশাসনের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। গত বছর আমাদের হলের একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব কর্মসূচি যেন অব্যাহত রাখে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, হলগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে গত সভায়ও আলোচনা হয়েছে। গাছপালা ছাঁটাই, ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হচ্ছে যেন মশা প্রজননের সুযোগ না পায়। ক্যাম্পাসে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় হলগুলোতে জোরালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে এটি আবাসিক এলাকা হওয়ার কারণেও পরিষ্কার রাখার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। যাতে ডেঙ্গুর মৌসুমে এডিস মশা বিস্তার ঘটাতে না পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close