নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

পরিবারে শিশুদের সহিংসতার হার বেশি : বিবিএস

পরিবার থেকেই শিশুদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। এক থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের প্রায় ৮৮ দশমিক ৮ শতাংশই তাদের পরিবারের কাছ থেকে সহিংস আচরণের (অতিরিক্ত শাসন) শিকার। শিশুদের প্রতি এমন সহিংস আচরণের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবনে ‘মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে-২০১৯’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করে বিবিএস। বিবিএস বলছে, ৩৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুদের মধ্যে শৈশবকালীন শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তুলনামূলক কম। এ সংখ্যা গড়ে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১২-১৩ সালে যা ছিল ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এ সময়ে স্কুলে উপস্থিতির হার কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৯ ভাগ। যদিও এখনো ১৩ শতাংশ কিশোর-কিশোরী নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষার বাইরে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ শিশু শ্রমের সঙ্গে জড়িত। স্কুলে যাওয়ার শিশুদের তুলনায় এ হার বেশি। শিক্ষা শেষ না করে ঝড়ে পড়ার হারে প্রতি পাঁচ জনের একজনই ছেলে। একইসঙ্গে গ্রামে শিশুদের বিয়ে এখনো ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য নিরসনে অগ্রগতি হলেও শিশুদের পুষ্টির হার ভালো নয়।

বিবিএসের প্রতিবেদনের এক অংশে বলা হয়েছে, পত্রিকা ও ম্যাগাজিন পড়ায় আগ্রহ কমছে নারীদের। বাড়িতে টেলিভিশন বাড়লেও নারীদের খবর দেখার আগ্রহ কমছে। ২০১২-১৩ সালে ১৫ থেকে ৪৯ বয়সি নারীদের মধ্যে পত্রিকা, রেডিও ও ম্যাগাজিন পড়ার আগ্রহের হার ছিল ১ দশমিক ৬ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে হয়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। বাসাবাড়িতে রেডিও এখন বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বাড়িতে রেডিও আছে, ছয় বছর আগে ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাসাবাড়িতে টেলিভিশনে নারীরা খবর বাদ দিয়ে নাটক-বিনোদন বেশি দেখছেন। ছয় বছর আগে শতকরা ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন থাকলে বর্তমানে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ দশমিক ৬ শতাংশে। নারীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার হার বাড়ছে। বর্তমানে ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশ নারী যেকোনো স্টেটমেন্ট পড়তে পারেন। ছয় বছর আগে এই হার ছিল ৮২ শতাংশ। বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। ২০১২-১৩ সালে ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুতের সুবিধা ছিল। এখন এই হার বেড়ে হয়েছে ৯২ দশমিক ২ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব শহিদুল ইসলাম ও ইউনিসেফের অফিসার ইনচার্জ এ্যালেন বালাডিন ডমসন। সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close