উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

শখের জাদুঘর

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রত্যন্ত পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের একটি শখের সংগ্রহশালা দেখতে আসছেন অনেকেই। প্রাচীন গ্রামীণ গৃহস্থালির ব্যবহার্য সামগ্রী ছাড়াও রয়েছে পুরোনো আমলের মুদ্রা। ওই গ্রামের বাসিন্দা মাহবুবুল আলম চাকরি করতেন ডাক বিভাগে। তিনিই শখের বশে গড়ে তুলেছেন ওই ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা। অনেকেই দেখতে আসেন, এতে বিরক্ত হন না বরং খুশি হন মাহবুবুল আলম।

৪৩ বছর ধরে এসব সামগ্রী সংগ্রহ করে চলেছেন তিনি। তার সংগ্রহে রয়েছে পুরোনো আমলের মুদ্রা, কাঁসা, পিতল ও বোঞ্জের তৈজসপত্র, পিতলের হুক্কা, প্রাচীন আমলের বাটখারা, পালকের কলম ও পিতলের কালিদানি, পিতলের পানবাটা, পানখিলান, আতরদানি, শরাবদানি ইত্যাদি। এ ছাড়া আরো রয়েছে আগের দিনের ব্যবহৃত মাটির তৈজসপত্র, বাঁশ ও বেতের আসবাবপত্র, মাছ শিকারের সামগ্রী। এ ছাড়া কৃষিকাজে অতীতে ব্যবহার হতো এমন অনেক কিছুই তার সংগ্রহে রয়েছে। মাহবুবুল আলমের সংগ্রহশালায় রয়েছে প্রায় ১১০০ সামগ্রী। সংগ্রহের পরিমাণ ও সংখ্যা আরো বাড়ানোর কাজ করছেন তিনি। গ্রামীণ গৃহস্থালির যেসব সামগ্রী আগে ব্যবহৃত হতো, কিন্তু সবই এখন বিলুপ্ত এসবই রয়েছে তার সংগ্রহশালায়। মাহবুবুল আলম ১৯৭৭ সাল থেকে ওই সংগ্রহের কাজ করছেন। বর্তমানে সংগ্রহের সংখ্যা প্রায় ১১০০ হবে বলে জানান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তার একটি বসতঘরে বড় ধরনের কয়টি আলমারিতে এসব সামগ্রী রাখা আছে। অনেক কিছুই ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পুরো ঘর সংগ্রহের সামগ্রীতে ভরে আছে। প্রাচীনকালের চামড়ায় বাঁধানো মলাটে পবিত্র কোরআন শরিফ ও বহু পুরোনো আমলের বই রয়েছে। পাশাপাশি হাল আমলের অনেক কিছুই তিনি সংগ্রহে রেখেছেন। যার অনেক কিছুরই ব্যবহার কমে এসেছে, সহজে পাওয়া যায় না।

মাহবুবুল আলম জানান, অতীতকালের সামগ্রী মনের খায়েশে সংগ্রহ করে আসছেন। তিনি আগের আমলের কোনো কিছুর খোঁজ পেলে সেটা কিনে নিয়ে আসেন এবং সংগ্রহে সাজিয়ে রাখেন। বিভিন্ন এলাকার কাসা পিতলের দোকান, পুরোনো সামগ্রী কেনা-বেচার দোকানিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। নিজ বসতবাড়ির পাকা দোতলা ভবনের বড় কক্ষে এসব সামগ্রী রাখার পরিকল্পনা রয়েছে তার। যাতে আগ্রহীদের দেখতে ও জানতে সুবিধা হবে। এসব দেখতে প্রায়ই তার বাড়িতে লোকজন আসেন। চাকরির ব্যস্ততার মাঝেও নিরলসভাবে কাজটি করে চলেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close