বাকৃবি সংবাদদাতা

  ১৬ নভেম্বর, ২০১৯

মাটি পরীক্ষার কিট উদ্ভাবন বাকৃবিতে

আমাদের দেশের কৃষকরা মাটিতে সারের চাহিদা না জেনেই জমিতে সার প্রয়োগ করে থাকেন। এতে মাটির উর্বরতা যেমন কমে যায় তেমনি ধানের ফলনও আশানুরূপ হয় না। তাই মাটির গুণাগুণ খুব সহজেই পরীক্ষা করে সার দেওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হতে একটি মাটি পরীক্ষণ কিট উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহের সুতিয়াখালী গ্রামে

‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’ ব্যবহার করে আমন ধানে সারের মাত্রা নির্ধারণ ও এর সুফল সম্পর্কে কৃষক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও গবেষকদের এক যৌথ মতবিনিময় সভার এসব তথ্য জানানো হয়।

অস্ট্রেলিয়ার দাতা সংস্থা এসিআইএআর এবং বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ধানসহ অন্যান্য ফসলের পরিমিত মাত্রায় সার ব্যবস্থাপনার ওপর একটি প্রকল্প (নিউম্যান) পরিচালনা করা হয়। প্রকল্পের একটি অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ সদরের সুতিয়াখালী গ্রামের ছয়জন কৃষকের জমিতে পৃথকভাবে ছয়টি পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকদের নিজস্ব চাষ পদ্ধতির চেয়ে অন্যান্য পদ্ধতিতে ফলন ভালো হয়েছে। তবে ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’ ব্যবহার করে কৃষকরা কম খরচে ও কম সময়ে মাটি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন।

প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষক কামরুল হাসান বলেন, আমরা আগে মাটি পরীক্ষা না করেই সার দিতাম। কিন্তু এবার ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’ দিয়ে মাটি পরীক্ষা করে সার দিয়ে আমরা আগের চেয়ে ফলন ভালো পেয়েছি। প্রকল্পের পিআই ও বাকৃবির কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহির উদ্দিন বলেন, ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’-এর মাধ্যমে মাটিতে কী পরিমাণ সার দিতে হবে তা খুব সহজেই জানা যায়। কৃষক মাঠে থেকেই এ পরীক্ষা করতে পারবে। মাটিতে পুষ্টি কম থাকলে সার বেশি দিতে হবে। ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’ ব্যবহার করে আগের চেয়ে বিঘাপ্রতি দুই মণ ফলন বাড়ে ও দেড় হাজার টাকা লাভ হয়েছে কৃষকদের।

সভায় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’ ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. জহির উদ্দিন, প্রকল্প সমন্বয়কারী ড. মো এনামুল হক, অধ্যাপক ড. মো. এম আর জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক ড. মো. ওয়াকিলুর রহমান, ড. মো. আবদুস সাত্তার, ড. মো. বখতিয়ার হোসেন ও এলাকার অর্ধশত কৃষক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close