বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সংসদ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ জনগণের স্বার্থেই কার্য সম্পাদন করে থাকে। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা জনগণের কল্যাণে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) এবং ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (ওআরএফ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ-২০১৯’ অনুষ্ঠানের ‘হোনিং লেজিসলেটিভ ইনোভেশন : পার্লামেন্টারি ডিপ্লোম্যাসি ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক সেশনে স্পিকার এসব কথা বলেন।

যুগোপযোগী এমন একটি আয়োজনের জন্য স্পিকার আয়োজকদের ধন্যবাদ জনিয়ে বলেন, এমন সৃজনশীল কর্মকান্ড নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এ ধরনের আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের সৃষ্টিশীল কাজে অনুপ্রাণিত করবে।

স্পিকার বলেন, বাজেট প্রণয়নসহ জনগুরুত্বপূর্ণ আইন পাসের ক্ষেত্রে সংসদের ভূমিকা মুখ্য। তিনি বলেন, দেশগুলোর মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সংসদীয় কূটনীতি ভূমিকা রাখছে এবং আইপিইউ, সিপিএ ও পিইউআইসি এক্ষেত্রে কাজ করছে। সংসদীয় কূটনীতি তথা আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের বিরাজমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বহুপাক্ষিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সংকট, বৈশ্বিক উষ্ণতা, শক্তি নিরাপত্তা, গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ, মানব পাচার ও খাদ্য নিরাপত্তার মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি অধিকতর নিরাপদ ও বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করা যাবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, নাহিম রাজ্জাক, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সাবেক সচিব এন আই খান, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ইন্দো-এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শিল্প, বাণিজ্য, অর্থনীতি, জলবায়ু, অভিবাসন ও সুশাসন নিয়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ-২০১৯’। গত সোমবার এই সংলাপের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন ৪০টি দেশের ১৫০ জন প্রতিনিধি।

"