লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে মিরন হত্যা
অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার গ্রেফতার ২
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিরন মেম্বার হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হত্যাকা-ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকা-ে ব্যবহৃত দুটি বন্দুক দুুটি এলজি, ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত সিএনজিসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মিট দ্য প্রেসে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে চন্দ্রগঞ্জ থানার একটি চৌকস টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মিরন মেম্বার হত্যাকা-ের অন্যতম আসামি মো. জসিমকে স্থানীয় বটতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। হত্যাকা-ের বিষয়ে জসিমকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে ওই হত্যাকা- সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে। একই সঙ্গে গোপন হেফাজতে রাখা হত্যাকা-ে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলির তথ্য দেয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে নিয়ে ২১ অক্টোবর বিকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার চরচামিতা মিজি বাড়ির কাচারিঘরের ভিটার নিচ থেকে বস্তাভর্তি অবস্থায় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে। হত্যাকা-ে জসিম নিজে ও জনৈক লোকমান এবং সিএনজিচালক জামালসহ আরো একজন জড়িত ছিল বলে জানায়। গত ১১ অক্টোবর হত্যাকা-ে ব্যবহৃত নম্বরবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও চালককে আটক করে পুলিশ। জামাল দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এ ছাড়াও ওই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইলিয়াছ কোবরা গত ১৪ অক্টোবরে দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গোলাগুলিতে নিহত হয়। পুলিশ সুপার এ হত্যাকা-কে পরিকল্পিত, পূর্বশত্রুতা ও স্থানীয় বিরোধের জের বলে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার কথা জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার দত্তপাড়ার আলাদাতপুরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় চারজন মুখোশ পরা অস্ত্রধারী স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম মিরনকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়।
"