নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ অক্টোবর, ২০১৯

পদ্মায় রেল সংযোগ

ক্ষতিগ্রস্তরা পেলেন পুনর্বাসন সুবিধা

পদ্মা সেতু হয়ে রেলপথ নির্মাণ কাজের কবলে পড়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে সরকার। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার ৪১ জনকে পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় আনতে অতিরিক্ত অনুদান হিসেবে ৭৭ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি ক্ষতিগ্রস্তদেরও সহায়তা দেওয়া প্রক্রিয়াধীন।

এরই মধ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আর এতে সংশ্লিষ্ট ছয় জেলার ৭ হাজার ৭০০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে মাওয়া থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গিয়ে রেললাইন জাজিরা, শিবচর ও ভাঙ্গা জংশন হয়ে ভাঙ্গা স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। আর এতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোর জেলা রেলপথে এক হবে। গতকাল রোববার রাজধানীর শ্যামপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউসের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন সুবিধা দেওয়া অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) ও রেলওয়ের সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা ডরপ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক অ্যান্ড ওয়ার্ক্স) আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন রেলওয়ের চিফ রিসেটেলমেন্ট অফিসার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, উপপরিচালক মহব্বতজান চৌধুরী, ডরপের চেয়ারম্যান আজহার আলী তালুকদার, প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের প্রথম গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কারজয়ী এ এইচ এম নোমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডরপের টিম লিডার আফতাব উল আলম।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সমন্বিতভাবে কাজ করায় পুনর্বাসন কার্যক্রম সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এসডিজি বাস্তবায়ন তথা দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষতিগ্রস্তদের জীবনমান উন্নয়নে বক্তারা একটি দেশীয় সমন্বিত পুনর্বাসন নীতিমালা প্রণয়ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপনে ৩ হাজার ৫৮ দশমিক ৪১ হেক্টর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close