খুলনা ব্যুরো

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে আইলা বিধ্বস্ত গাবুরাবাসী

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আইলা বিধ্বস্ত অধিকাংশ বেড়িবাঁধ অনেক নাজুক। বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে রয়েছে এ এলাকার মানুষ। গত দুই দিন ধরে লোকালয়ে চুয়ে আসছে জোয়ারের পানি। নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের, এই বুঝি বাঁধ ভেঙে গেল। বাঁধের কোথাও কোথাও মাত্র দুই থেকে আড়াই ফুট চওড়া রয়েছে। তাও খসে খসে পড়ছে।

জানা গেছে, ওই উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের বাঁধের অনেক জায়গা দিয়ে চুয়ে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। এর মধ্যে পার্শ্বেমারী টেকের হাট এলাকার অবস্থা বেশি নাজুক। ১৫ থেকে ২০ ফুট প্রস্থের বাঁধ ভাঙতে ভাঙতে আর মাত্র দুই-আড়াই ফুট অবশিষ্ট রয়েছে। গত রাতভর স্থানীয় জন প্রতিনিধির তত্ত্বাবধানে এলাকাবাসী বাঁধ নির্মাণের কাজ করেছে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের জানান, আমি ওই স্থান সরেজিমন দেখেছি। অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিকভাবে ঠিকাদার নিয়োগ করে রিং বাঁধের নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। স্থানীয় জনতা বাঁধ সংস্কারের কাজ করছে। ওখানে যারা কাজ করছে তাদেরও আমাদের পক্ষ থেকে সহায়তা করা

হবে বলে তিনি জানান। স্থানীয় বাসিন্দা মো. সবুজ গাইন জানান, সামান্য ঝড়ো বাতাস উঠলেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ি আমরা। এলাকার মানুষ বেশ সমস্যার রয়েছে।

৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. বাদশা আলম জানান, পার্শ্বেমারী টেকেরহাট এলাকার আজিজ গাজীর বাড়ী থেকে মাকসু গাজীর বাড়ী পর্যন্ত ৩০০ ফুট রাস্তার অবস্থা এখন খুবই খারাপ।

গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জি এম মাকছুদুল আলম জানান, আইলা ও সিডরে বিধ্বস্ত গাবুরার নাপিতখালী, লেবুবুনিয়া, কালিবাড়িসহ তার আশপাশের এলাকায় বেড়িবাঁধের অবস্থা ভালো না। সামান্য ঝড়ো বাতাস উঠলেই আমাদের সবার খাওয়া ঘুম হারাম হয়ে যায়। আমরা এলাকাবাসীকে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে অনেক জায়গা সংস্কার করেছি। জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। আমরা আজ রাতে স্থানীয়ভাবে এখান কাজ করছি। আশা করছি ভালো কিছু হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close