প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

হদিস মিলল ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে ভারী নিউট্রন নক্ষত্রের

মৃত তারার শরীরের টুকরোর ওজনই আমাদের সূর্যের ভরের দেড় থেকে তিন গুণ! গোটা তারা নয়, সেই ওজনটা মৃত নক্ষত্রের শরীরের শুধু টুকরোর! চমকে দেওয়ার মতো ভারী, এমন একটি নিউট্রন নক্ষত্রের হদিস মিলল। এই প্রথম শরীরের টুকরোর ওজনই যদি এতটা হয়, তাহলে ভাবুন যে তারাটা মরেছে সেই নক্ষত্রটা ছিল কত ভারী! এই সে দিন ব্রহ্মাণ্ডের যে সবচেয়ে ভারী নিউট্রন নক্ষত্রের দেখা পেয়েছেন জ্যোতিবিজ্ঞানীরা, তার ওজন আমাদের সূর্যের ভরের ২ দশমিক ১৭ গুণ। ব্যাস ৩০ কিলোমিটার। এর আগে এত ভারী নিউট্রন নক্ষত্রের আর হদিস মেলেনি এই ব্রহ্মাণ্ডে। নিউট্রন নক্ষত্রের চেয়ে বেশি ঘনত্বের আর কোনো মহাজাগতিক বস্তুর হদিসও ব্রহ্মাণ্ডে এখন পর্যন্ত পাননি জ্যোতিবিজ্ঞানীরা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ওই অসম্ভব ভারী নিউট্রন নক্ষত্রটি রয়েছে আমাদের থেকে ৪ হাজার ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে। আমেরিকার ‘ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন’-এর (এনএসএফ) ‘গ্রিন ব্যাংক টেলিস্কোপে’ ধরা পড়ছে সেই নিউট্রন নক্ষত্র। যে কৃতিত্বের দাবিদার আমেরিকার ‘ন্যানোগ্র্যাভ ফিজিক্স ফ্রন্টিয়ার্স সেন্টার’। গবেষণাপত্রটি ছাপার প্রস্তুতি চলছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার-অ্যাস্ট্রোনমি’-তে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত ওই সবচেয়ে ভারী নিউট্রন নক্ষত্রটির নাম ‘জে-০৭৪০+৬৬২০’।

‘নিউট্রন নক্ষত্র’ কী জিনিস? তারাদের মৃত্যুর সময় হয় প্রচ- বিস্ফোরণ। যাকে বলে সুপারনোভা। সেই সময় বিশাল তারাটির কিছু অংশ ভেতরের অত্যন্ত জোরাল বলের টানে চুপসে যায়। তারাটির ভর সূর্যের ভরের তিন গুণের বেশি হলে সুপারনোভার পর তার কিছুটা অংশ পরিণত হয় ব্লাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরে। আর মৃত তারার শরীরের অবশিষ্ট অংশের ভর যদি হয় সূর্যের ভরের দেড় থেকে তিন গুণের মধ্যে, তাহলে তা হয়ে পড়ে নিউট্রন নক্ষত্র। যা শুধুই তৈরি হয় প্রচুর পরিমাণ নিউট্রন দিয়ে। এখন পর্যন্ত এমন অন্তত চারটি নিউট্রন নক্ষত্রের হদিস মিলেছে, যাদের গ্রহও রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close