রাঙামাটি প্রতিনিধি

  ২৪ আগস্ট, ২০১৯

রাঙামাটিতে শক্তিমান হত্যার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুমন চাকমা সেনা সদস্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমানাছড়া এলাকায় উজোবাজারে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। তবে পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) দাবি করেছে, তাদের ‘সাবেক’ এই কর্মীকে ‘বিনা উসকানিতে গুলি করে হত্যা’ করা হয়েছে।

এদিকে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রাঙামাটি জেলার বাঘাইহাট সেনা জোনের সদস্যরা শুক্রবার ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে’ দোপাতা এলাকায় ‘সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য’ অভিযান চালানো হয়। ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীরা সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। সেনাবাহিনীর টহল দল তৎক্ষণাৎ পাল্টা গুলি বর্ষণ করে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে আনুমানিক ৪-৫ মিনিট গোলাগুলি হয়। সেনা সদস্যদের চাপের মুখে অজ্ঞাত সন্ত্রাসী দল পিছু হটতে বাধ্য হয়। ওই গোলাগুলিতে ইউপিডিএফের (মূল) শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন চাকমা নিহত হয়।

নিহত সুমন চাকমা নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযানে আরো ‘একাধিক সন্ত্রাসী’ আহত হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর ধারণা। আইএসপিআর বলছে, ‘ওই স্থানের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন। ভবিষ্যতেও এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা ছিলেন জনসংহতি সমিতির ‘এমএন লারমা’ অংশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি। গত বছর ৩ মে উপজেলা পরিষদে যাওয়ার সময় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন তার শেষকৃত্যে যাওয়ার পথে হামলায় নিহত হন ইউপিডিএফের সংস্কারবাদী (গণতান্ত্রিক) অংশের নেতা তপনজ্যোতি চাকমা বর্মাসহ পাঁচজন। নানিয়ারচর এলাকার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে জেএসএসের এমএন লারমা অংশের সঙ্গে ইউপিডিএফের সংস্কারবাদী (গণতান্ত্রিক) অংশের এক ধরনের মিত্রতা রয়েছে। ওই ছয় খুনের ঘটনায় ইউপিডিএফ নেতা প্রসিত বিকাশ খীসাকে প্রধান আসামি করে যে মামলা করা হয়, সেখানে সুমন চাকমার নামও ছিল।

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, ‘সুমন আমাদের সাবেক কর্মী। তাকে বিনা কারণে, বিনা উসকানিতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সে যদি কোনো অপরাধ করে থাকে, তবে তার ন্যায়বিচার হবে, কিন্তু এভাবে হত্যা করার কোনো অধিকার কারো নেই।’ এর আগে গত ১৮ আগস্ট রাঙামাটির আরেক উপজেলা রাজস্থলীর গাইন্দ্যা ইউনিয়নের পোয়াইথুপাড়া এলাকায় গুলিতে টহলরত এক সেনা সদস্য নিহত এবং দুজন আহত হন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close