পার্থ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা থেকে

  ২৫ জুন, ২০১৯

উত্তর প্রদেশে সপা-বসপা জোট ভাঙল

মায়াবতী-অখিলেশ বিচ্ছেদ চরমে। দলের জাতীয় কনভেনশনে সমাজবাদী পার্টির ওপর অভিমান, ক্ষোভ পুরোপুরি উগরে দিয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী। দলীয় কর্মীদের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট ভেঙে একা লড়ার বার্তাও দিয়েছেন। উত্তর প্রদেশের বিধানসভার ১২টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে একাই লড়তে চলেছে বহুজন সমাজ পার্টি বা বসপা। উত্তর প্রদেশে লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল না হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে সমাজবাদী পার্টিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করেছেন মায়াবতী। তার অভিযোগ, সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবই চেয়েছিলেন বেশিসংখ্যক মুসলিম প্রার্থী না করতে। এতে মেরূকরণ হতে পারে বলে অখিলেশের নাকি দাবি ছিল। পাশাপাশি তার অভিমান লোকসভা নির্বাচনের পর একবারও তাকে ফোন করেননি বাবুয়া মানে, সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব। কিন্তু মায়াবতী ফোন করেছিলেন। সমাজবাদী পার্টির শোচনীয় হারে অখিলেশকে সান্ত¡নাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সৌজন্যবোধ অখিলেশ দেখাননি বলে বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতীর অভিযোগ। বিএসপি অধ্যক্ষের পরাজয়ের পেছনে সপার এক হেভিওয়েট নেতা দায়ী বলেও মায়াবতী অভিযোগ করেছেন। সমাজবাদী পার্টির শাসনে দলিতরা অত্যাচারিত হন বলে অভিযোগও তুলেছেন। মায়াবতীর একের পর এক অভিযোগে সপা ও বসপা মহাজোটের ফাটল আরো প্রশস্ত হচ্ছে। ২০২২ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা লক্ষ্য করেই এগোতে চাইছেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। মনে করা হচ্ছে, মুসলিমদের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে অখিলেশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পেছনে সূক্ষ্ম চাল রয়েছে মায়াবতীর। এবারের নির্বাচনে শূন্য থেকে ১০টি আসন বাড়াতে পেরেছেন বসপা নেত্রী মায়াবতী। সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুসলিম ভোটও পেয়েছেন বসপার মায়াবতী। এখন সেই মুসলিম ভোটব্যাংককে হাতছাড়া করতে চাইছেন না মায়াবতী। পাশাপাশি দলিত নিয়েও মুখ খুলেছেন মায়াবতী। সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি একা লড়লে আদতে বিজেপির ফায়দা হতে পারে উত্তর প্রদেশে। সোমবার সকাল থেকে একের পর এক সোশ্যাল মিডিয়াতে বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী, সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ উগরে দিয়েছেন।

সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব ও অন্য নেতৃত্বের খারাপ ব্যবহারেই তিনি জোট ভাঙতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। মায়াবতী বলেছেন, যে বিজেপিকে হারাতেই সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট গড়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই জোট যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, এখন তা বুঝতে পেরেছেন। দলীয় স্বার্থেই এবার থেকে সব ভোট একা লড়ার কথা জানিয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী।

স্কুলে ৫ শতাংশের বেশি ফি বৃদ্ধি নয়

বেসরকারি স্কুলে অহরহ ফি বৃদ্ধির চাপে পশ্চিমবঙ্গের অভিভাবকদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। বছরখানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আইনি খসড়া আগেই তৈরি ছিল। এবার তা বাস্তবায়নে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। এবার বেসরকারি স্কুলে বেলাগাম ফি নিয়ন্ত্রণে আনতেই মরিয়া রাজ্য সরকার। কী রয়েছে ওই আইনি খসড়ায়। বলা হয়েছে, বছরে ৫ শতাংশের বেশি ফি বৃদ্ধি করতে পারবে না কোনো স্কুলই। পাশাপাশি পরিষেবা দেওয়ার নিরিখে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে সব বেসরকারি স্কুলকে। খতিয়ে দেখা হবে ফি অনুযায়ী তারা পরিষেবা দিচ্ছে কি না। এরপর বেসরকারি স্কুলগুলো কোন কোন খাতে ফি নিচ্ছে, তাও খতিয়ে দেখা হবে। এরপর থেকে আলাদা আলাদা খাত দেখিয়ে কোনো রকম ফি নিতে পারবে না বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ। একটাই খাত দেখিয়ে ফি নেওয়া যাবে বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের কাছ থেকে। এ ছাড়া তৈরি হবে একটি কমিটি। যেখানে বেসরকারি স্কুলে সব ফি সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন পশ্চিমবঙ্গের অভিভাবকরা। এরই মধ্যে এসব আইনি খসড়া পৌঁছে গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তা এখন মুখ্যমন্ত্রীর বিবেচনাধীন। যত শিগগিরই সম্ভব তা বাস্তবায়িত করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, এই আইন বাস্তবায়িত হলে স্বাভাবিকভাবেই উপকৃত হবেন অভিভাবকরা। কিন্তু প্রশ্ন হলোÑ বছরখানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে সব বিখ্যাত বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পরও তা কার্যকর করতে এত দেরি কেন হলো, তার কোনো উত্তর নেই, রাজ্য সচিবালয় নব্বানের কাছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close