দারিদ্র্যের শিকার শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে ব্রিটেনে। সাড়ে আট হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার একটি দলের সমীক্ষা (ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়ন সার্ভে) রিপোর্টে তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। ছেঁড়া জামা-জুতো। বই-খাতা-পেন্সিল কিনে দেওয়ার ক্ষমতা নেই গরিব বাবা-মায়ের। ব্রিটেনে এখন এমন বাচ্চার সংখ্যা নেহাত কম নয়।

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের অর্ধেকের বেশির দাবি, অনেক পড়–য়া আধপেটা হয়ে স্কুলে আসে। দুদিন না খেয়ে আছে, এমন বাচ্চাও রয়েছে। শরীর-স্বাস্থ্যও তাই ভালো নেই অনেকের। এক শিক্ষিকা জানালেন, মাসের মধ্যে বেশ কয়েক দিন ইউনিফর্ম পরে আসতে হয় না বাচ্চাদের। ওই দিনগুলো ভয়াবহ হয়। ভালো জামাকাপড় পরে আসতে না পারায় ধনী ঘরের ছেলেমেয়েরা হেনস্তা করে। অনেকে এ কারণে স্কুলেই আসে ওই দিনগুলো। আর এমন পড়–য়ার সংখ্যা অন্তত ৩৫ শতাংশ। লিভারপুলে ‘ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়ন’র (এনইইউ) বার্ষিক অনুষ্ঠানে সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। সরকার থেকে স্কুলগুলোকে যথেষ্ট অর্থসাহায্য করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এনইইউর যুগ্ম সাধারণ সচিব মেরি বুস্টেড বলেন, ‘সরকার এসব শুনতে চায় না। কিন্তু ওদের জানা উচিত। ব্রিটেনের জন্য এ ঘটনা লজ্জার। বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশের এ অবস্থা কেন হবে!’ তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, ব্যয়সংকোচের নামে শিক্ষা খাত থেকে কাটছাঁট করা হচ্ছে। তাতে দরিদ্র পরিবারগুলো আরো বিপাকে পড়ছে। শিশু ও পরিবারবিষয়ক মন্ত্রী নাদিম জাহায়ি বলেন, ‘এ ধরনের বিষয়কে সব সময়ই সরকার গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। দেশে চাকরির বাজার কিন্তু ভালোই। বেতনও বাড়ছে মানুষের। তবে আমরা জানি, কিছু পরিবারের আরো সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে।’

"