শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার নারী শ্রমিক সৌদিতে
হাত-পা বেঁধে লোমহর্ষক নির্যাতনের অভিযোগ
গৃহপরিচারিকার কাজের কথা বলে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার এক নারীকে সৌদি আরব নেওয়া হয়েছে গৃহশ্রমিক হিসেবে। ঢাকার পল্টনে অবস্থিত তাসলিমা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি এই নারীকে সৌদি আরব পাঠায়। এখন ওই নারীর ছেলেরা দাবি করেছেন সৌদিতে ওই নারীর ওপর যৌন ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এই নির্যাতন করা হয় হাত-পা বেঁধে। বীভৎস ও লোমহর্ষক কায়দায়।
অন্যদিকে এজেন্সির স্টাফের কাছে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সহায়তা পাননি ওই নারীর দিনমজুর দুই ছেলে। এমতাবস্থায় গত ৩ জানুয়ারি নির্যাতিত নারীর ছেলে মিলন মিয়া ও মিঠু মিয়া সৌদি আরবে থাকা তাদের মাকে দেশে ফিরে নিয়ে আসতে সরকারের সহযোগিতা ও দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। নির্যাতিত নারীর ছেলে মিলন ও মিঠু মিয়া জানিয়েছেন, ৭ মাস আগে সৌদি আরবে এক মালিকের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজের কথা বলে তাদের মাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ জন্য তারা আবদুল হালিম নামে এক দালালকে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাদের মায়ের ওপর যৌন ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমনকি তার হাত-পা বেঁধে রেখে যৌন ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় বলে দেশে থাকা ছেলেদের ফোনে জানিয়েছেন সৌদিতে থাকা ওই নারীর দুই ছেলে।
সৌদি আরব থেকে তাদের মা প্রায় ৫ মাস আগে থেকে মোবাইল ফোনে তার অবস্থান ও নির্যাতনের কথা জানিয়ে আসছেন। তবে ঢাকার পল্টনের এজেন্সির কর্মী পরিচয়দানকারী হাবিবুর রহমান ও আবদুল হালিম তাদের মায়েরই দোষ দিচ্ছেন এবং সেখানেই থাকার জন্য বলছেন।
দালাল আবদুল হালিম জানান, ওই নারীর ওপর কোনো নির্যাতন হচ্ছে না। নির্যাতিন নারী মোবাইল ফোনে সব সময় কথা বলতে পারবে না। দুই মাস ধরে ওই নারীর বেতন বন্ধ ছিল এ সমস্যা তিনি সমাধান করে দিয়েছেন।
শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়ারা খাতুন জানান, প্রবাসী কল্যাণ সমিতি এবং দূতাবাসের মাধ্যমে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"