নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ অক্টোবর, ২০১৮

বিশ্ব বসতি দিবসের আলোচনায় বক্তারা

বর্জ্য সমস্যার সমাধানে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

বিশ্ব বসতি দিবসের দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেছেন, পৌর এলাকার বর্জ্য এখন দেশের অন্যতম বড় সমস্যা। এ সমস্যা শুধু সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার ওপর সমাধানের দায়িত্ব দিলেই হবে না। এ সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। নইলে বর্জ্যও দেশের শহর এলাকায় জলাবদ্ধতার মতো বড় সমস্যার কারণ হবে। এ ছাড়া পরিবেশ ও প্রতিবেশে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যেসব সমস্যার সমাধানে দেশবাসীকে মারাত্মক খেসারত দিতে হবে।

গতকাল সোমবার র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনারের মাধ্যমে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ। ভোরে শহীদ মিনার থেকে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত র‌্যালির নেতৃত্ব দেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সকাল ৯টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিকেলে গণপূর্ত অধিদফতরে সেমিনার হয়। এ বছর বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘পৌর এলাকার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’।

দুটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১৯৫৪ সালে দেখেছি আমাদের বাসার পাশে একজন লোক ওই এলাকার আবর্জনা থেকে বোতল, কাচ বা অন্যান্য দ্রব্যাদি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত। এখন রমনা পার্কে প্রতিদিনি একজন লোককে দেখি যত্রতত্র ফেলে রাখা প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। নিশ্চিয় তিনি এসব কোথাও বিক্রি করে করে টাকা উপার্জন করেন। বর্জ্য সম্পদ কিন্তু আমরা সেটাকে ব্যবহার করতে না পারার কারণে আমাদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্ব পালন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে এ বিষয়টি আবাসনের সঙ্গে ওতপোতভাবে জড়িত থাকায় স্বল্প পরিসরে সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি, এসব উদ্যোগ অন্য সংস্থার জন্য মডেল হবে। এসব বর্জ্যরে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে বায়োগ্যাস ও জৈব সার উৎপাদন করা হবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো এত দিন ধরে চিন্তা, গবেষা ও পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কিন্তু, কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এ জন্য এখন আমরা বলব, দৃশ্যমান কাজ করতে হবে। যেসব প্রকল্পের মাধ্যমে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে পারব।

রাজধানীতে সোমবার বিশ্ব বসতি দিবসের দিনভর সরকারি কর্মসূচি পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। এ ছাড়া এসব আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য আলহাজ মো. দবিরুল ইসলাম, ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close