প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব এসব কী বলছেন!

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের বিতর্কিত ভুল ভাষণ চলছেই। প্রায় প্রতিটি জনসভাতেই তার মন্তব্য নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ লেগেই রয়েছে ভারতের সামাজিক মাধ্যমে। তার আবোল-তাবোল মন্তব্যের সাম্প্রতিক সংযোজন, ‘টাকার দাম কমলে জিনিসের দাম কমে!’ তার এ ধরনের কথাবার্তা আসলেই মাত্রা ছাড়িয়েছে। তিনি জ্ঞানী-গুণীদের সভায় আগা-মাথা না বুঝেই কথা বলেন। আগরতলা প্রেস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেছেন, ‘ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তানÑ এসব দেশের সংস্কৃতি এক। আর সেটা লাখো বছরের পুরনো সংস্কৃতি। ত্রিপুরার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মশকরা করে বলেছেন,‘ ভাবুন তো আহমক কাকে বলে! তিনি বোকার মতো এসব কী বলছেন’।

মাত্র আড়াই বছরের সক্রিয় রাজনীতি পুঁজি করে বিপ্লব কুমার দেব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হন ছয় মাস আগে। তার নেতৃত্বে বিজেপি পরাস্ত করে টানা ২০ বছরের কমিউনিস্ট মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে। ৪৭ বছর বয়সে সুদর্শন যুবক ভার নেন ত্রিপুরার। অনেকে ভেবেছিলেন, তরুণ মুখ্যমন্ত্রী। কাজে জোয়ার আসবে। এমনও শোনা গিয়েছিল, বিপ্লবই রাজ্যে উন্নয়নে ‘বিপ্লব’ আনবেন। অনেকে মশকরা করে বলতেন, বামদের চেনা সুর হারিয়ে গেল। কারণ, ভারতে আর কমিউনিস্টরা বলতে পারবে না, ‘বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক!’ কারণ, বিপ্লবই তো তাদের প্রতিপক্ষ!

এহেন বিপ্লব কাজে কী করছেন, সেটা পরের কথা। তার দলের লোকেরাই লজ্জিত মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতির ভাষণে। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও সবাই ক্ষিপ্ত। কিন্তু দলীয় অনুশাসন মেনে সব হজম করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনটাই বলছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা।

বিপ্লব সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, টাকার দাম কমলে জিনিসের দাম কমে। নিজের সচিবালয়ের বাইরে তার এই মন্তব্য ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। আবার আগরতলা প্রেস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সামনে তার মন্তব্য, ‘ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান প্রভৃতি দেশের সংস্কৃতি এক। আর সেটা লাখো বছরের পুরনো সংস্কৃতি।’

প্রায় প্রতিটি জনসভাতেই বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ম করে ফেলেছেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের নাইটের বদলে নোবেল প্রত্যাখ্যান, মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট, ভগবান বুদ্ধের হেঁটে জাপান জাপানযাত্রা থেকে শুরু করে বিতর্কিত মন্তব্যের তালিকা বেশ লম্বা।

কংগ্রেসের সাবেক রাজ্য সভাপতি গোপাল রায়ের অভিযোগ, ‘মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সুনাম নষ্ট করে চলেছেন। ত্রিপুরার বাইরে গেলে লোকে রীতিমতো এখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করছে।’

বিপ্লবের এ ধরনের মন্তব্য প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা তথা রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ পবিত্র কর প্রথম আলোকে বলেন, ‘উনি নামের সঙ্গে কথায় মিল রাখছেন। অর্থনীতিবিদেরা লজ্জায় পড়ছেন ওনার পান্ডিত্যে। তাই উনি যত কম কথা বলেন, ততই মঙ্গল রাজ্যের।’ বিপ্লবের দলেরই নেতা তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ অবশ্য বলছেন, ‘আমরা নতুন। ভুল হতেই পারে। এটাকে নিয়ে হাসিঠাট্টার কিছু নেই।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close