আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসনে রাজ্যসভায় প্রস্তাব
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রকে অভিশংসনের জন্য রাজ্যসভায় প্রস্তাব তুলেছে সাত বিরোধী দল। গতকাল শুক্রবার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী সাতটি দলের নেতারা এই প্রস্তাবে সই করেছেন।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতের কোনো প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসনের মুখোমুখি হতে হয়নি। সে হিসেবে এটি নজিরবিহীন একটি পদক্ষেপ।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রকে অভিশংসনের আরজিতে স্বাক্ষর করা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, সিপিআই (এম), সিপিআই, সমাজবাদী পার্টি, আইইউএমএল ও বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি)।
এদিকে, শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেসের নেতারা বলেছেন, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে’ এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। নেতারা বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপের মুখে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে না পারায়’ প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসনের আরজি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা দাবি করেছেন, দীপক মিশ্রকে অভিশংসনের আরজির প্রতি রাজ্যসভার ৬০ জনের বেশি সদস্যের সমর্থন রয়েছে। এ ধরনের নোটিসের ক্ষেত্রে রাজ্যসভার কমপক্ষে ৫০ জন সদস্যের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। প্রধান বিচারপতির অভিশংসনের প্রস্তাবে যারা স্বাক্ষর করেছেন, তাদের মধ্যে কংগ্রেস, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, সিপিআই (এম), সিপিআই, সমাজবাদী পার্টি, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল) এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টি থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যরা রয়েছেন। অভিশংসনের নোটিসে স্বাক্ষরের আগে এসব রাজনৈতিক দলের নেতারা পার্লামেন্টে এক সভায় একসঙ্গে বসে প্রস্তাব চূড়ান্ত করেন।
তবে ভারতের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সোলি সোরবজি বলেছেন, শুধু সুনির্দিষ্ট অসদাচরণের অভিযোগেই অভিশংসনের নোটিস দেওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে অসদাচরণের প্রমাণ দাখিল করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ভুল রায় দিয়েছেন- এটি মনে করে কোনো প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসনের জন্য নোটিস দেওয়া যায় না।’
"