নিজস্ব প্রতিবেদক
উন্নয়নশীল বাংলাদেশ
সিদ্ধান্ত নিতে নিউইয়র্কে বৈঠক শুরু
সোমবার ১২ মার্চ শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ত্রিবার্ষিক কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) বৈঠক। আশা করা হচ্ছে, বৈঠক থেকে বাংলাদেশের জন্য এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত আসবে। আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকেই স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাংলাদেশসহ আরো ১৫টি দেশ রয়েছে এই তালিকায়। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশ নেপাল ও ভুটান রয়েছে।
স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য তিনটি সূচক বিবেচনা করা হয়। তিন বছরের গড় মাথাপিছু জাতীয় আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক। সরকারি বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সিডিপির বৈঠকে বাংলাদেশের ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ এই তিন বছরের সূচকের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হবে। একটি দেশকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হতে মানবসম্পদ উন্নয়নে ১০০-এর মধ্যে ৬৬ পয়েন্ট থাকতে হয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রয়েছে ৬৮ দশমিক ৭ পয়েন্ট। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতায় ৩২ পয়েন্টের নিচে থাকতে হয়; বাংলাদেশ রয়েছে ২৫ দশমিক ১১ পয়েন্টে। আর জাতীয় মাথাপিছু আয় (জিএনআই) ১ হাজার ২৪২ মার্কিন ডলার হতে হয়। তবে বাংলাদেশ এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে ১ হাজার ৬১০ ডলারে। বাংলাদেশকে অবশ্য সূচকের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে ২০২১ সাল পর্যন্ত। ২০২২ সালের শেষের দিকে জাতিসংঘের নির্ধারিত নিয়মে সূচকের তথ্যগুলোর সমন্বয়ে চূড়ান্ত হিসাব তৈরি করা হবে। ২০২৪ সালের মার্চে সিডিপির নতুন বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন হলে তা পাঠানো হবে ইকোসোকে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চূড়ান্ত করে জাতিসংঘে প্রতিবেদন পাঠাবে ইকোসোক। সাধারণ অধিবেশনে তা স্বীকৃতি পেলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাবে। এসব প্রক্রিয়ায় মোট ছয় বছর লাগবে। সেই পর্যন্ত বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
জানা যায়, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার অর্জনটি উদ্যাপনের জন্য ইতোমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হওয়ার সুখবর পেলে আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। ওইদিন আতশবাজি পোড়ানো হবে। রাজধানীর সড়কগুলো রঙিন বাতি দিয়ে সাজানো হবে, সড়ক ও স্থাপনাগুলো সাজবে লাল-সবুজ পতাকায়। এর পাশাপাশি মন্ত্রণালয়গুলোর পক্ষ থেকেও আলাদাভাবে নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
"