সাফল্যের রহস্য জানালেন ফেদেরার
সাতটা ম্যাচে ১৪ ঘণ্টাও কোর্টে কাটাননি এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। যার মধ্যে পাঁচ ম্যাচ জিতেছেন দু’ঘণ্টার মধ্যে। সেট হারিয়েছেন মাত্র দুটো। তাও ফাইনালে। কে বলবে এ রকম দাপট দেখানো খেলোয়াড়ের বয়স ৩৬! তিনি রজার ফেদেরার। ঐতিহাসিক ২০ নম্বর গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতার পর তার কাছে প্রথমেই যে প্রশ্নটা উঠে আসছে সেটা হলো—আর কতদিন এ ভাবে খেলে যেতে চান? ট্রফি ক্যাবিনেটে আর কতগুলো গ্র্যান্ড স্ল্যাম তার লক্ষ্য?
ফেদেরার বলছেন, গত ১২ মাসে তিনটে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছি। এটা বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমাকে একটা দারুণ সূচি মেনে চলতে হবে। আরও জেতার খিদেটা ধরে রাখতে হবে। ২০০৩-এ প্রথম জেতা উইম্বলডন থেকে রোববারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন প্রায় ১৫ বছরের যাত্রা। এতদিন ধরে সর্বোচ্চ পর্যায়ের টেনিসে টিকে থাকার রহস্য কী? ফেদেরার বলছেন, আমার মনে হয় বয়স শুধু একটা সংখ্যা। তবে আমায় আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে। আগেই ঠিক করে নিতে হবে কোন জিনিসগুলোকে গুরুত্ব দেব, কোনগুলোকে এগিয়ে রাখব।
কে বলবে ফেদেরার ১৯৭২-এ কেন রোজওয়েল (৩৭) এবং ম্যাল অ্যান্ডারসনের (৩৬) পরে বয়স্কতম ফাইনালিস্ট হিসেবে ফাইনালে উঠেছিলেন। কীভাবে তিনি এখনও সব বাধা কাটিয়ে এভাবে তরতাজা ভাবে খেলতে পারছেন সে প্রসঙ্গে ফেদেরার কৃতিত্ব দিচ্ছেন তার সূচিকে। তিনি বলেন, যতগুলো সম্ভব টুর্নামেন্ট খেলার চেষ্টা না করা। বেছে বেছে খেলা। প্র্যাকটিস উপভোগ করা। এত ঘুরাফেরা, দৌড়োদৌড়ি করা নিয়ে কোনও সমস্যা না হওয়া। আর দারুণ একটা টিম থাকা। এগুলোই আমার জন্য সব সম্ভব করে তুলেছে।
সঙ্গে আরও এক জন আছেন। তার স্ত্রী এবং প্রাক্তন সুইস ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় মিরকা। ২০০০ সিডনি অলিম্পিক্স থেকে ফেদেরারের সঙ্গে যার প্রথম আলাপ। বিয়ে ২০০৯ সালে। বলেন, আমার স্ত্রীর জন্যই সব সম্ভব হয়েছে। ওর সমর্থন না থাকলে এতদিন ধরে টেনিস খেলে যেতে পারতাম না। ও আমাকে প্রচণ্ড সমর্থন করেছেন এ ব্যাপারে। বাচ্চাদের সামলানোর বিরাট দায়িত্বটা নিজেই কাঁধে তুলে নিয়েছে। এই জীবনটা এমন থাকত না যদি মিরকা রাজি না থাকত।
পিডিএসও/হেলাল