স্বচালিত আকাশযানের উড্ডয়ন
এয়ারবাসের স্বচালিত আকাশযানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন
বিশ্ববিখ্যাত ইউরোপীয় বিমান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস স্বচালিত আকাশযান তৈরিতে মন দেয় ২০১৬ সালে । দীর্ঘ গবেষণার পর তারা তৈরি করেছে স্বচালিত এই আকাশযান। এবার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার পথে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটি এ বছরের ৩১ জানুয়ারি প্রথম বারের মত নিজেদের ডিজাইন করা উড়ন্ত গাড়ির পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করল। প্রোটোটাইপ এয়ারক্রাফট ভাহানাকে মোট দুইবার তারা ৫৩ সেকেন্ডের জন্য উড়াতে সক্ষম হন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মধ্যেই এটি বাজারজাতকরণ করতে পারবেন তারা। ২০.৩ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৮.৭ ফুট প্রস্থের ভাহানা এয়ারক্রাফটটি অল্প জায়গার মধ্যে খাড়াভাবে ল্যান্ড করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। চারটি ইঞ্জিনের সমন্বয়ে বানানো এয়ারক্রাফটটির বডি হেলিকপ্টারের মতো এবং বডির দুই পাশে দুই সেট পাখা আছে। গাড়িটি শুধুমাত্র একজন যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে। পরীক্ষামূলক এ উড্ডয়নটি যুক্তরাষ্ট্রের অরেগনের পেন্ডলটন আনম্যানড অ্যারিয়াল সিস্টেম রেঞ্জে করা হয়।
স্বচালিত এই আকাশযানে বসতে পারবেন একজনই। যানটিতে থাকা স্ক্রিনে গন্তব্য চিহ্নিত করে দিলেই উড়ে যাবে যান। বিমানের মতো যানটি ওড়ার জন্য লাগবে না কোনও রানওয়ে। লাগবে না চালকও। এদিকে জানানো হয়েছে, স্বচালিত ওই আকাশযানের নাম হবে 'বাহন'। এখন এয়ারবাসের লক্ষ্য মার্কিন অসামরিক বিমান চলাচল দফতরের সার্টিফিকেট আদায় করা।
বর্তমানে বিশ্বে এই ধরণের যান তৈরি করে চিনা সংস্থা ই-হ্যাং নামে একটি চিনা সংস্থা। তবে সেটিকে নিরাপত্তাবিধি অনুসারে সুরক্ষিত বলে সার্টিফিকেট দেয়নি পশ্চিমের কোনও দেশ। যদিও দুবাইতে এয়ার ট্যাক্সি হিসাবে যাতায়াত করে আকাশযানটি।
পিডিএসও/তাজ