আতঙ্কিত মির্জা ফখরুলরা আশ্রয় নেন মসজিদে
হামলার পর আতঙ্কিত অবস্থায় স্থানীয় হোমরা মসজিদ আশ্রয় নিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া অন্য নেতারা ছুটে আশ্রয় নেন পাশের একটি এতিমখানায়। রোববার সকাল ১১টার দিকে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের ইছাখালি এলাকায় বিএনপির প্রতিনিধি দলের উপর ২৫-৩০ জন সশস্ত্র লোক হামলা চালায়। হামলাকারীরা ফখরুলদের বহনকারী ৩টি গাড়ি ভাংচুরও করে।
হামলার পর স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেয়া মির্জা ফখরুল বলেন, এটা অন্যায় অবিচার। এ দেশে কেউ নিরাপদ নয়। আমরা পাহাড়ধসে মানুষকে দেখতে ও ত্রাণ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাধা দেয়া হলো। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জানা যায়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাহাড় ধসে দুর্গত পাহাড় পরিদর্শনে চট্টগ্রাম যান। সেখান থেকে আজ সকালে দলটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নৌপথে রাঙামাটির উদ্দেশে রওনা হন। দুর্গত মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ত্রাণবিতরণ ও কয়েকটি পথসভা করার কথা ছিল তাদের।
কাপ্তাই যাওয়ার পথে ইছাখালি পার হয়ে কাপ্তাই বাজার যাওয়ার মুখেই ৩০/৩৫ সশস্ত্র যুবক অতর্কিতে বিএনপির ত্রাণবহরে হামলা চালায়। এ সময় তারা রড, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মির্জা ফখরুলকে বহনকারী গাড়িতে ভাংচুর চালায়। এতে গাড়িতে থাকা মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবে রহমান শামীম রক্তাক্ত হন।
এরপর দুর্বৃত্তরা সাংবাদিকসহ আরও তিনটি গাড়িতে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে চালকেরা দ্রুত গাড়ি চালিয়ে নিরাপদে চলে যান। এক পর্যায়ে আতঙ্কিত নেতারা স্থানীয় একটি মসজিদ ও মাদরাসায় আশ্রয় নেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
পিডিএসও/হেলাল