বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল রোববার
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তারা পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন। বের হন পৌনে ৬টার দিকে।
এদিকে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে রোববার সারাদেশের জেলা ও মহানগরে এবং ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
কারাগারে ঢোকার আগে বা বের হওয়ার পর খালেদা জিয়ার স্বজনরা কারও সঙ্গে কথা বলেননি। তাদের মধ্যে ছিলেন খালেদা জিয়ার ভাই সাইদ এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, তাদের দুই ছেলে অভিক এস্কান্দার ও অরিক এস্কান্দার এবং ভাগ্নে ডা. মামুন।
দলের পক্ষ থেকে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি এ সময় বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাৎ শেষে নিকটাত্মীয়রা দেশনেত্রী সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছেন তা শুধু মর্মস্পর্শীই নয়, হৃদয়বিদারক। সরকারের জিঘাংসার কশাঘাতের ভয়াবহতা তার প্রতি অমানবিক আচরণের মাত্রা থেকেই বোঝা যায়।
রিজভী বলেন, নিকটাত্মীয়রা বলেছেন, গত ৫ জুন খালেদা জিয়া দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি তিন সপ্তাহ ধরে ভীষণ জ্বরে ভুগছেন, যা কোনোক্রমেই থামছে না। চিকিৎসাবিদ্যায় এটিকে বলা হয় টিআইএ (ট্রানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাক)। দেশনেত্রীর পা দুটো এখনও ফুলে আছে এবং তিনি তার শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছেন না।
এ সময় বিএনপি নেতা রিজভী চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে এর আগেও কথা হয়েছে। তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে তার স্বাস্থ্যের এত অবনতি হতো না। সরকারের ইচ্ছাকৃত অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যা থেকে বোঝা যায়, সরকার এবং সরকার প্রভাবিত প্রশাসনযন্ত্র কোনো গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
পিডিএসও/রিহাব