reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৪ নভেম্বর, ২০১৮

মানুষের যেন সেবা করে যেতে পারি : প্রধানমন্ত্রী

কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্নাতকোত্তরের সমমান দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আয়োজিত শোকরানা মাহফিলে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই শোকরানা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের। যতদিন বাঁচবো মানুষের যাতে সেবা করে যেতে পারি, কল্যাণ করে যেতে পারি—এটাই আল্লাহর কাছে চাওয়া।

রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র ব্যানারে এই শোকরানা মাহফিল হয়।

মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের লাখ লাখ ছেলেমেয়ে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। যারা এতিম, যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাদের আপনারা আশ্রয় দিচ্ছেন, পড়াশোনা করাচ্ছেন। আর তাদের সনদের স্বীকৃতি দেবো না তা তো হতে পারে না। তখনই একটি শিক্ষা পূর্ণ হয়, যখন ধর্মীয় শিক্ষাটা গ্রহণ করা হয়। তাদের সনদের যদি স্বীকৃতি না থাকে তাহলে তারা কী করবে, কী করে চলবে।

তিনি বলেন, এই সনদের মাধ্যমে তারা চাকরি পাবে, দেশে বিদেশে কাজ করতে পারবে—এই সুযোগটা আমরা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য করে দিয়েছি, যাতে তারা সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, (কওমি সনদের) স্বীকৃতির জন্য যখন বলা হলো, আমরা কিন্তু সেটা করে দিলাম—পার্লামেন্টে আইন পাস করে। কারণ, আইন পাস না করলে বাধ্যবাধকতা থাকতো না। আমরা আইন পাস করে দিলাম যাতে ৭৭ সালের মতো কেউ এসে তা বাতিল করে দিতে না পারে।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একটি মানুষও যাতে ক্ষুধার জ্বালায়, রোগে ভুগে কষ্ট না পায় সেজন্য সবাইকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

ইসলামের প্রসারে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিয়েছি, যাতে তারা যেকোনো সময় এই ট্রাস্ট থেকে সাহায্য নিতে পারে। মসজিদভিত্তিক উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা আমরা করেছি। মসজিদে যারা শিক্ষা দেন তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় ৮০ হাজার আলেম এ থেকে উপকৃত হচ্ছেন। তারা ভাতা পাচ্ছেন।

নিজের জীবন নিয়ে আর কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে শুধু এটুকুই চাই—বাংলাদেশের মানুষ যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে, আল্লাহ যেন তাদের সহায় হোন—এটাই আমি আল্লাহর কাছে চাই।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনেই নির্বাচন। সবকিছু আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। আল্লাহ যদি চান আবারও ক্ষমতা এসে মানুষের সেবা করবো। আর আল্লাহ যদি না চান তাহলেও আমার কোনো আফসোস থাকবে না।

হেফাজতে ইসলামের আমির ও আল হাইয়াতুল উলা লিল জামিয়াতুল কওমিয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন। মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কওমি জননী’ উপাধি দেওয়া হয়।

পিডিএসও/অপূর্ব/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মানুষ,সেবা,প্রধানমন্ত্রী,কওমি মাদ্রাসা,সনদ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close