পাইলট প্রিথুলাও নিহত : বেঁচে আছেন ক্যাপ্টেন আবিদ
নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইউএস বাংলার প্রথম নারী পাইলট প্রিথুলা রশিদও। তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। অবশ্য বিমানটির প্রধান বৈমানিক আবিদ সুলতান বেঁচে আছেন বলে জানিয়েছে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ।
খবরে প্রকাশ, বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত অনেককে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে ৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা। ওই ৮ জনের মধ্যে বৈমানিক পৃথুলা রশিদের নাম রয়েছে। তিনি উড়োজাহাজটিতে ফার্স্ট অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যুক্ত। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা পৃথুলা উড্ডয়নের ডিগ্রি নিয়েছেন আরিরাং এভিয়েশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে।
ইউএস বাংলার ফার্স্ট অফিসার রিজওয়ান আহমেদ খান জানান, দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটিতে ক্যাপ্টেন ছিলেন আবিদ সুলতান। ফার্স্ট অফিসার পৃথুলা ছাড়াও ক্রু হিসেবে ছিলেন নাবিলা ও খাজা হোসেন। কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃতের তালিকায় ক্রু খাজা হোসেনের নাম রয়েছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মার্কেটিং সাপোর্ট ও জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় আহতরা নেপালের কেএমসি, ওহম, নরভিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৈমানিক আবিদ সুলতান বেঁচে আছেন বলে বলে বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আসিফ ইমরান সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, আবিদ সুলতান জীবিত আছেন। এই খবর শোনার আগ পর্যন্ত আবিদের স্বজনরা উৎকণ্ঠায় ছিলেন। বিকালে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠজন সাংবাদিক সুমাইয়া জামান বলেছিলেন, আমরা এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাচ্ছি না। কেউ বলছেন, তিনি বেঁচে আছেন, কেউ বলছেন তিনি নেই। আমরা ভীষণ উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি।
এদিকে পৃথুলা তার ফেসবুকে সর্বশেষ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন গত ১৮ জানুয়ারি। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন, ‘খোদা হাফেজ’। ইথিওপিয়া বিমানবন্দরে গত ১৮ জানুয়ারি দেয়া ওই স্ট্যাটাসের পর তিনি আর কোনো স্ট্যাটাস লেখেননি।
জানা যায়, ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার বুলে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশে আসার সময় তিনি এই স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি আর কোনো স্ট্যাটাস দেননি। এরপর গত ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি তার প্রিয় বিড়ালকে কোলে নিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন।
অন্যদিকে প্রিথুলার মৃত্যুতে ফেসবুকের তার বন্ধুরা গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তার এক বন্ধু লিখেছেন, ‘ওপারে ভালো থাকুক আপু। একজন লিখেছেন, আমরা গভীরভাবে শোকাহত। প্রিয়জন হারানোর সংবাদ বড় বেদনার বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ।পিডিএসও/মুস্তাফিজ