প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
দুদকের মামলা
শামীম ও খালেদ ৭ দিনের রিমান্ডে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া দুদকের মামলায় যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার জি কে শামীমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত এই আদেশ দেন। খালেদ ও শামীমকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন আদালতকে বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জি কে শামীমের ২৯৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য জানা গেছে। অসংগতিপূর্ণ এই সম্পদের উৎস জানার জন্য শামীমকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
খালেদের ব্যাপারে দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন আদালতকে বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে খালেদের ৫ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য জানা গেছে। এই অসংগতিপূর্ণ সম্পদের উৎস জানার জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
শামীমের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেন, শামীম কোনো অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেননি। যে টাকা তিনি আয় করেছেন, তা তার আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ আছে। শামীম হাজার হাজার কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের কাজ করেন।
খালেদের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেন, খালেদ কোনো অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেননি। তিনি আগে ২৪ দিন রিমান্ডে কাটিয়েছেন। যদি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হোক।
আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে শামীম ও খালেদকে সাত দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগে শামীম ও খালেদের বিরুদ্ধে গত ২১ অক্টোবর মামলা করে দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি করা হয়।
শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন। মামলায় শামীমের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৯ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। খালেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের আরেক উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পিডিএসও/হেলাল