পার্থ মুখোপাধ্যায়

  ১২ এপ্রিল, ২০২০

লকডাউন না হলে ৮ লাখ ছাড়াতো ভারতে

ভারতে চলছে লকডাউন, বেড়েছে তার সময়সীমাও। দেশের হট স্পটগুলি চিহ্নিত করে সেই অঞ্চলে নজরদারি আরও কড়া করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও থামছে না আক্রান্তের হার। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩২৬। মৃত্যু হয়েছে ২৭৬ জনের। তবে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৭১৬ জন। ওড়িশা, পfঞ্জাব, তেলেঙ্গানাতেও বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের সময়সীমা। লকডাউনের এই সময়সীমাতেই দিল্লিতে ১০৬৯টি নতুন কেস ধরা পড়েছে। এখন ভারতে কোভিড-১৯-এ মৃত্যুর হার ৩.২১ শতাংশ।আলাদা করে দেখলে, পাঞ্জাবে মৃত্যুর হার ৮.৩৩ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশে ৭.৫৯ শতাংশ এবং দিল্লির ক্ষেত্রে এই হারটা ১.৪৪ শতাংশ।

দেখা গিয়েছে, করোনা টেস্ট করার হার যে রাজ্যে যত বেশি, সেখানে মৃত্যুর হার তত কম। পাঞ্জাবে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৬১ জনের পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে করোনায় মৃত্যু হার ৮.৩৩। মধ্যপ্রদেশে ৭ হাজার ৪৯টি টেস্ট হয়েছে। পজিটিভ ধরা পড়ে ৪৩২। মৃত্যু হয় ৩৩ জনের। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দিল্লিতে ১১ হাজার ৬১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। মারা গিয়েছেন ১৪ জন। রাজধানীতে মৃত্যুহার ১.৪৪ শতাংশ। করোনায় ভারতের সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানে মৃত্যুহার ৭ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে ৩০ হাজার পরীক্ষা হয়েছে, পজিটিভ ধরা পড়েছে ১,৫৭৪। করোনায় দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য তামিলনাড়ুতে ৮ হাজার ৪১০ টেসট হয়েছে। করোনার জীবাণু মিলেছে ৯১১ জনের মধ্যে। মারা গিয়েছেন ৮ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, লকডাউন না হলে জীবনযাপনে কড়াকড়ি না হলে ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেত ৮ লাখ। কেন্দ্রের দাবি, করোনা মোকাবিলায় কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছিল চ্যালেঞ্জ। রাজ্যগুলিকে সঙ্গে নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ২৭৩। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে বাঁচাতে লকডাউন অর্থাৎ ঘরবন্দিদশাই একমাত্র উপায়। কেন্দ্র বলছে, প্রথমেই যদি লকডাউন ঘোষণা করা না হতো, তাহলে এই ১৫ তারিখের মধ্যেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছা়ড়িয়ে যেত ৮ লাখ। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা স্বাভাবিকভাবেই আরও জটিল হয়ে যেত।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৩৫। এই প্রথম ভারতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, লকডাউন না হলে এই সংখ্যা আরও লাফিয়ে বাড়ত। করোনা মোকাবিলায় লকডাউন একান্ত জরুরি পদক্ষেপ। সেক্ষেত্রে কেবল জীবনযাপনে কড়াকড়ি করলেও পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে থাকত না। সেক্ষেত্রে করোনা সংক্রামিত হতো ১.২ লাখ মানুষ।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
লকডাউন,ভারত,করোনা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close