reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৪ অক্টোবর, ২০১৮

ইন্দোনেশিয়ায় ত্রাণের জন্য হাহাকার

নিহতের সংখ্যা ১৪শ ছাড়ালো

ইন্দোনেশিয়ায় গত শুক্রবারের ভূমিকম্প ও সুনামিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে গতকাল বুধবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক হাজার চারশো ছাড়িয়ে গেছে। সময় যত যাচ্ছে এ সংখ্যা ততই বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। খাবারের জন্য বেপরোয়া লোকজন দোকানপাটে লুটতরাজ শুরু করেছে।

সুলাবেসি দ্বীপের পালু শহরে সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং ভূমিকম্পের পর সুনামির ফলে সৃষ্ট ২০ ফুট উঁচু ঢেউয়ে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ধ্বংসস্তূপের ভেতর এখনো অনেকে আটকে আছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে দুর্যোগের পর উদ্ধার তৎপরতা তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না। পালু শহরের রোয়া-রোয়া রিসোর্টের একটি হোটেলেই অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। শহরের জোনুজ গির্জার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বাইবেল ক্যাম্পে অংশ নেয়া ৮৬ শিশুর মধ্যে ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৫২ জনের এখনো কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের সময় রোয়া-রোয়া হোটেলে ৫০ জন ছিলেন। এর মধ্যে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। নয়জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। অন্যদের ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় জানিয়েছে, পালুতে দুই লাখ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। এর মধ্যে এক চতুর্থাংশ শিশু। ক্যাথোলিক রিলিফ সার্ভিসের ইয়েননি সুরিয়ানি বলেন, আক্রান্ত এলাকাগুলোতে সাহায্য সংস্থাকে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ, পালুর প্রধান বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, স্থলপথের সড়কগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে আর সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বললেই চলে। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, তারা জরুরি সহায়তা দিয়ে একটি এয়ারক্র্যাফট পাঠাচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, পালু শহরে যাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে, তারা প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ন্যূনতম খাবার জোগাড়ের চেষ্টায় ছিলেন। শহরের স্বাভাবিক সব সেবাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ, খাবার ও পানি খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে।

খাবার, পানি ও জ্বালানির জন্য দোকানপাট লুট করা থেকে রক্ষা করতে পুলিশ পাহারা দেয়া শুরু করেছে। পুলিশের উপপ্রধান আরি দোনো সুকমানতো বলেছেন, শুরুতে ভুক্তভোগীদের খাবার লুট করার বিষয়টি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেছিল পুলিশ। কিন্তু কিছু মানুষ কম্পিউটার ও নগদ অর্থ লুট করছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় দিন থেকে খাবার সরবরাহ শুরু হয়েছে। এখন তা শুধু বিলানো হবে। এখন আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করেছি। সূত্র : বিবিসি ও রয়টার্স

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ইন্দোনেশিয়া,ত্রাণ,সুনামি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close