জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞায় আসছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী
জাতিসংঘ এবার মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা নারীদের ওপর যৌন সহিংসতা চালানোর দায়ে দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে এই তালিকায় আওতাভুক্ত করা হয়েছে ৫১টি সরকার, বিদ্রোহী ও চরমপন্থী গোষ্ঠীকেও। মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এই খবর প্রকাশ করেছে।
সংবাদ সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ‘সমষ্টিগতভাবে শাস্তি’ দেয়ার কৌশলের অংশ হিসেবে এই যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো জাতিসংঘ মহাসচিবের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগাম হাতে পাওয়ার দাবি করে প্রতিবেদন দিয়েছে এপি।
প্রতিবেদনে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেজ বলেন, এসব কর্মকাণ্ড রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিপীড়ন, ভয় দেখানো আর সমষ্টিগতভাবে শাস্তি দেয়ার কৌশলের অংশ ছিল। এই পূর্বনির্ধারিত নিপীড়নের মাধ্যমে তাদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করে তাদের ফেরার পথ বন্ধ করা হয়েছে।
গত সপ্তাহের জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই প্রতিবেদন তুলে ধরা হবে। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ ওই প্রতিবেদনে বলেছেন, আন্তর্জাতিক চিকিৎসাকর্মীরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে অনেকের ওপর শারীরিক ও নৃশংস যৌন নির্যাতনের মানসিক ভীতি বহনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, মিয়ানমারের সশস্ত্রবাহিনী স্থানীয় মিলিশিয়াদের সঙ্গে যৌথভাবে এই নিপীড়ন ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
২০১৬ সালের অক্টোবর ও ২০১৭ সালের আগস্টে সামরিক বাহিনীর ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশনেন’ সময় এসব নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। এতে বলা হয়. মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যৌন নির্যাতনে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। যৌন সহিংসতার শিকার বেশিরভাগই ছিল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক নারী ও কিশোরীরা।
পিডিএসও/তাজ