জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ ও সিটের দাবিতে পৃথক বিক্ষোভ করেছে আবাসিক ছাত্রীরা। সোমবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ৪৩ থেকে ৪৬ ব্যাচের ছাত্রীরা হলের সামনের সড়কে প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। তাদের আন্দোলন শেষ হলে হলের রুমে সিটের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন একই হলের ৪৭ ব্যাচের ছাত্রীরা।

প্রথম দফার আন্দোলনরত ছাত্রীদের অভিযোগ, রাতে প্রভোস্ট ছাত্রীদেরকে কথা বলার জন্য ডেকে অসদাচরণ করেন। তিনি অনিয়মিতদের (শুধু শুক্র ও শনিবার হলে থাকেন না এমন ছাত্রীরাও) সিট বাতিল করা, সকল রুমে ৬ জন করে রাখা, রান্নাঘর বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এছাড়া কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি ছাত্রীদেরকে পূর্বে যারা অন্য হলে ছিল তাদেরকে সেসব হলে চলে যেতে বলেন।

দুই ছাত্রী বলেন, তারা প্রভোস্টকে ডাইনিং চালু করা এবং ক্যান্টিনের খাবারের মান বৃদ্ধির দাবি জানালেও তিনি অপ্রীতিকর মন্তব্য করেন।

এসব অভিযোগ তুলে ছাত্রীরা সোমবার রাত ৯টার দিকে হলের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে প্রভোস্টের পদত্যাগসহ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। ছাত্রীদের অন্য দাবিগুলো হলো—কোনো ছাত্রীর আসন বাতিল করা যাবে না, প্রতি কক্ষে চারজনের বেশি রাখা যাবে না, হলের প্রতিটি রান্নাঘর চালু রাখতে হবে, ডাইনিং চালু করতে হবে, ক্যান্টিনের খাবারের মান বৃদ্ধি করতে হবে।

এ সময় ছাত্রীদের আন্দোলনের কারণে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলন চলাকালে রাত ১০টার দিকে হলটির প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। শেষে ছাত্রীদের দাবি মেনে লিখিত আশ্বাস দিলে রাত ১১টার দিকে ছাত্রীরা সড়ক ছেড়ে হলে চলে যান।

এদিকে প্রথম দফা আন্দোলন শেষ হলে রাত ১১ টার দিকে হলের রুমে সিটের দাবিতে বিক্ষোভে নামেন ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, অন্যান্য হলে তাদের সহপাঠীরা সিট পেলেও তারা দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে গণরুমে মানববেতন জীবনযাপন করছেন। হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে তারা এখনো সিঙ্গেল সিট পাননি। ফলে তাদেরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (রাত ২টা) বিক্ষোভ চলছিল। আন্দোলনরত এক ছাত্রী বলেন, আজ সিটের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা হলে ফিরবো না। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে ফোন দেওয়া হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।

পিডিএসও/হেলাল