জাবি প্রতিনিধি

  ০৩ এপ্রিল, ২০১৯

জাবি এ্যালামনাই এসোসিয়েশন নির্বাচন

১০১ পদে প্রতিদ্বন্ধিতা ১টিতে!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের ২০১৯ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শুক্রবার। এই নির্বাচনে ১০১টি পদের বিপরীতে প্রার্থী মাত্র ১০১ জন। এর মধ্যে ৯৯টি পদে প্রার্থীরা ইতোমধ্যে বিনা বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর একটি পদে কোনও প্রার্থী পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র সাধরাণ সম্পাদক পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানোর পাশাপাশি এই একমাত্র পদটিতেই হতে যাওয়া নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এস এম সাদাত হোসেন। এছাড়া তিনি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগও তোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার ব্যালট পেপার না ছাপিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের উপর সে কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন। যা নিয়ম বহির্ভূত। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানোর আশঙ্কা করছি।’

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। গ্রুপটি পরিকল্পিতভাবে ১০১টি পদের মধ্যে ৯৯টি পদেই তার নিজস্ব প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত করেছে। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ্যালামনাই এসোসিয়েশন সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য হতে আগ্রহ হারাচ্ছে।’

এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ৮ দফা দাবি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। দাবিগুলো হলো- নির্বাচনের আগের দিন রাত থেকেই নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা গ্রহণ করা, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সকল ব্যাক্তিকে নিরপেক্ষ কিংবা আইন শৃংখলা বাহিনীর মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পূর্বে তল্লাশী করা, একটি কক্ষে শুধুমাত্র একটি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণ করা, প্রার্থী বা প্রার্থীর এজেন্টকে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা সরবরাহ করা, প্রত্যেকটি ভোটারের বাম হাতে অমোচনীয় মার্কার কালি ব্যালট পেপার গ্রহণের আগে দিয়ে দেয়া, ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাড়া অন্য কাউকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া, নির্বাচনী কাজে দায়িত্বরতদের পরিচয়পত্র প্রদান, ব্যালট পেপার ছোট করা এবং ভোটের কার্যক্রম ভিডিও করার ব্যবস্থা প্রদান করা।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এস এম বদিয়ার রহমান বলেন, ‘এই ধরনের কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। যদি কেউ অভিযোগ করে সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর কেউ কারচুপির আশঙ্কা করলে তো আর কারচুপি প্রমাণিত হয় না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
১০১ পদ,প্রতিদ্বন্ধিতা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close