ঢাবি প্রতিনিধি
প্রাণনাশের উদ্দেশ্যেই এই হামলা : ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গত ৮ এপ্রিল মধ্যরাতে উপাচার্য ভবনে হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, নিজের ও পরিবারের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়লেও ভবনের বাইরে অবস্থানরত ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের কথা ভেবে সেদিন পুলিশের সহযোগিতা নেইনি।
মঙ্গলবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘উপাচার্যের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সংহতি প্রকাশ’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঢা্বি উপাচার্য গত ৮ এপ্রিল মধ্যরাতে বাসভবনে হামলার ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশকে অশান্ত করার চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের উদ্দেশ্যেই এই হামলা ও তাণ্ডবলীলা চালিয়েছিল।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপাচার্য ভবনে নারকীয় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, সিনেট সদস্য মো. আলাউদ্দিন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর ব্যানারে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা গত রোববার শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে পুলিশ তাদের রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে সরিয়ে দেয়। এরপর সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভ্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
পিডিএসও/তাজ