জাবি প্রতিনিধি
খাওয়ার স্থানে পড়ার ব্যবস্থা
জাবিতে ব্যতিক্রমধর্মী লাইব্রেরি চালু করলো শিক্ষার্থীরা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বেশ কয়েকটি হলে রিডিং রুম থাকলেও মওলানা ভাসানী হলে কোন রিডিং রুম নেই। যদিও অধিকাংশ হলের রিডিং রুমকে গণরুম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে থাকছেন নবীন শিক্ষার্থীরা। এতে করে হলে রিডিং রুমে পড়ার সুযোগ পায় না শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যে লাইব্রেরি আছে সেটিও আসন সংকটে জর্জরিত। শিক্ষার্থীদের চাহিদা মেটাতে পারছে না কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। ফলে অনেককেই লাইব্রেরিতে গিয়ে সিট না পেয়ে ফিরে আসতে হয়। শিক্ষার্থীদের এই অসুবিধার কথা চিন্তা করে মওলানা ভাসানী হলে ব্যতিক্রমধর্মী এক লাইব্রেরি চালু করেছে হলটির একদল আবাসিক শিক্ষার্থী। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে হলের ডাইনিংয়ে ‘ওয়াই টু কে’ মেসের সভাপতি মো. খায়রুল ইসলাম (পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ, ৪২ ব্যাচ) এই লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন।
শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে হলটির ‘ওয়াই টু কে’ মেসের সদস্যরা এই লাইব্রেরি চালু করেছে। তারা মেসের নামানুসারে এই লাইব্রেরির নাম দিয়েছে ‘ওয়াই টু কে লাইব্রেরি’। প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটা এবং রাত সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত এই লাইব্রেরি বন্ধ থাকবে। বাকিটা সময় যেকেউ এখানে পড়তে পারবে। তবে সরেজমিনে শনিবার সন্ধ্যায় স্থানটি পরিদর্শন করে কাউকে পড়তে দেখা যায়নি।
খায়রুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে আমাদের মেসের পক্ষ থেকে এই লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে। আশা করি এ থেকে হলের শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে জুনিয়ররা বেশি উপকৃত হবে। তিনি বলেন, এখনো শিক্ষার্থীরা এই লাইব্রেরি সম্পর্কে জানে না। এজন্য এখনো তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তবে লাইব্রেরির কার্যক্রমের কথা ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা হয়তো এখানে পড়তে আসবে।
পিডিএসও/রানা