জাবি প্রতিনিধি
জাবিতে র্যাগিং বন্ধে মাঠে নেমেছে শিক্ষক সমিতি-মঞ্চ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নবীন শিক্ষার্থীদের চলমান মানসিক নির্যাতন (র্যাগিং) নিরসনে মাঠে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষক মঞ্চ। রোববার পৃথক সংবাদ সম্মেলনে র্যাগিং প্রতিরোধের ডাক দেয় সংগঠন দুটি। রোববার বিকাল ৩টার দিকে নতুন কলা ও মানবিকী ভবনে প্রথমে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষক মঞ্চ। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, প্রশাসনে অনুগ্রহপুষ্ট ও আনুগত্যের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রমে অবহেলা ও নিষ্কিৃয়তা দেখা দিয়েছে। আর এ অবস্থায় নিপীড়করা র্যাগিংকে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক স্বাধীন সেন, অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন, সহকারী অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলি প্রমুখ।
এদিকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সামজ বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে অপর সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যগিং বন্ধ করতে হলগুলো পরিদর্শনের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরী করা দরকার। র্যাগিং নামক অপসংস্কৃতি নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কর্র্তৃক র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পেলেন। তারপরে এমন প্রতিরোধের ডাক দিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চ।
উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে পরিচিত হওয়ার জন্য (সিটিং) ডাকে। সেখানে ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন (র্যাগিং) করে। এ সময় মিজানুরকেও অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়াসহ শারীরিক নির্যাতন করে। এছাড়া সংযুক্ত শহীদ সালাম বরকত হল ছেড়ে আ. ফ. ম. কামালউদ্দিন হলে তাকে আসতে বলে। না আসলে তাকে হত্যা ও গুম করার হুমকি দেয়। এরপরের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারও তাকে বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা মানসিক নির্যাতন ও হুমকি দেয়। যার কারণে নবীন শিক্ষার্থী মিজানুর ভয় পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
পিডিএসও/রানা