হবিগঞ্জের মাধবপুরে মোবাইল ফোন দিয়ে মেয়েদের গোসল ভিডিও করার প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

রোববার বিকেলে উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেল) নাজিম উদ্দিন ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ খেলু মিয়া (৫৫), রেহানা (৩৫) ও ফরিদাকে (৩৮) গ্রেফতার করে।

মনিপুর গ্রামের অমল সরকারের স্ত্রী রানু রানি জানান, রোববার দুপুরে তার ননদ দশম শ্রেণির ছাত্রী ও ভাসুরের মেয়েসহ তিনজন বাড়ির পাশে পুকুরে স্নান করতে যায়। এ সময় একই গ্রামের হুমায়ুন, শরীফ, শাহাব উদ্দিন ও বায়েজিদ মোবাইলে মেয়েদের স্নান ভিডিও করে।

মেয়েরা বাড়িতে এসে এ ঘটনা বললে শ্যামল সরকারকে জানালে তিনি হুমায়ুনসহ তাদের অভিভাবকদের বাড়িতে গিয়ে বিচার দেন। বিচার দেওয়ার ঘটনায় হুমায়ুন ও তাদের লোকজন বিকাল ৩টার দিকে হিন্দু পাড়ায় গিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে। হুমায়ুন ও তার সঙ্গীরা রানু রানির শিশু সন্তানকে পুকুরে ফেলে দেয়। তাদের হামলায় দিপালি (৫৫), বিমল (২৮) ও অমল (২২) আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের প্রথমে মাধবপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম দস্তগীর আহামেদ জানান, মনিপুর গ্রামের বাসুদেব সরকার বাদি হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। ছাতিয়াইন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামরুল ইসলামকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতারও করেছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পিডিএসও/হেলাল