কুমিল্লার মুরাদনগরের মধ্যরাতের লাগা আগুনে ১৫টি ব্যবসায়প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার (২ মার্চ) মধ্যরাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। রাত একটায় কানু বনিকের জুয়েলারী দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তেই আগুন আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটের চেষ্টায় ভোর ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

আগুনে স্বর্ণপট্টির কানু বনিক, কানাই সরকার, সেন্টু পাল, দিপ বনিক, চন্দন দেব, শংকর দেবের দোকান, আজমেরি মেডিকেল হল, ডিসেন্ট টেইলারের গুদামঘর, আর এফ টেলিকম, ফারুক স্টোর, নিলয় লাইব্রেরি, আল-আমিন চা ঘর, দোলা মিডিয়া, বাবুল সাহার হার্ডওয়ারসহ ১৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়। ঈদের আগে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া দোকানের ছাইয়ে দিকে তাকিয়ে আহাজারি করছেন ব্যবসায়ীরা।

ফারুক স্টোরের স্বত্বাধিকারী বজলুর রহমান বলেন, ‘৭০ বছর ধরে আমি ব্যবসা করি। ৫০ বছর আগে একবার আগুন লাগছিল, তখন যে ক্ষতি হয়েছিল তা কাটিয়ে উঠতে পারছি, কিন্তু আজ আমার সব শেষ হয়ে গেল।’ কথাগুলো বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. শাহ আলম জানান, রাত ১টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদের ইউনিট কাজ শুরু করে। প্রায় দেড়ঘন্টার প্রচেষ্টায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিক ভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

মুরাদনগরের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সরকারি নিয়ম মোতাবেক প্রণোদনা দেওয়া হবে।’

পিডিএস/আরডি