ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি রাতের আঁধারে বিলুপ্ত ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

মানববন্ধনে ছাত্রলীগের কসবা উপজেলা, ১০টি ইউনিয়ন ও কসবা পৌরসভাসহ ওয়ার্ড কমিটির সাবেক ও বর্তমান কমিটিতে পদে থাকা বিপুল পরিমান নেতা-কর্মী অংশ নিয়েছে। নেতা-কর্মীরা বিলুপ্ত হওয়া কমিটি পুনরায় বহাল করার দাবি জানিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের যৌথ স্বাক্ষরে কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবিরতা হওয়ায় ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং বিলুপ্ত হওয়া উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাফায়েত হৃদয়ের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনির হোসেন, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত হওয়া কমিটির সদস্য সুমন রানা, বিনাউটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আলাউদ্দিন নাছিম, সৈয়দাবাদ আদর্শ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল, কুটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তুহিন আহাম্মদ, বায়েক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ আহাম্মদ, মেহারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বসির আহাম্মদ, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, পাশা আলী ও শারফিন, কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফজলে রাব্বি প্রমুখ।

সভায় কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন বলেন, ‘রাতের আঁধারে কমিটি ভেঙে দেওয়ার ইতিহাস নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উপজেলার জ্যৈষ্ঠ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি করবে। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার বিষয়টিকে আমি ধিক্কার জানাচ্ছি।’

কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনির হোসেন বলেন, ‘যারা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে তাদের কমিটিরই অনেক আগে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।’

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘নতুন নেতৃত্ব আসার জন্য দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আবারো নতুন কমিটি গঠন করা হবে।’

বিলুপ্ত হওয়া কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আফজাল হোসেন বলেন, কসবা উপজেলা একটি শক্তিশালী কমিটি। বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ও কলেজ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করে উপজেলা নির্বাচনের পর একটি কমিটি গঠনের জন্য বলা হয়েছে। তারা সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা না করেই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। স্থানীয় ছাত্রলীগ সুসংগঠিত। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

পিডিএস/আরডি